শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে করতে গিয়ে অপুষ্টিতে ভোগার কোনও মানে হয় না।
Published : 09 Oct 2014, 06:27 PM
খাবারে নিয়ন্ত্রণ আনতে গিয়ে অনেক সময়ই পুষ্টির অভাব দেখা দেয়। ফলে অনেক সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে। খাবার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ওজন কমানোর মূল উদ্দেশ্য হল, পরিমিত খাবারের মধ্য দিয়ে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি পাওয়া যায়।
বেশ কিছু খাবার আছে যেগুলো প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় থাকলে ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকবে। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে।
স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এ খাবারগুলোর নাম উল্লেখ করা হয়।
কমলা লেবু
যে কোনো ভাইরাস জনিত রোগ থেকে দূরে রাখতে দারুণ কার্যকরী কমলা লেবু। তাছাড়া এই ফলে খুবই সামান্য পরিমাণ ক্যালরি আছে যা ডায়েট কন্ট্রোলের সময় খাওয়ার জন্য আদর্শ। এতে ওজন বাড়ার ভয় থাকবে না। এছাড়া ত্বকের জন্য উপকারী ও হাড়ের শক্তি বাড়ায়।
দই
সকালের নাস্তায় কম ক্যালরিযুক্ত খাবার হিসেবে রাখা যেতে পারে টক দই। শুধু ক্যালরি কমাতে নয়, দইয়ের প্রোবায়োটিকস হজমে সহায়তা করে। স্বাস্থ্য রক্ষায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে আদর্শ খাবার দই।
রসুন
খাবারের স্বাদ ও সুগন্ধ বাড়াতে রসুনের জুড়ি নেই। পাশাপাশি এটা ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবেও কাজ করে। রসুনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
চা ও মধু
চা শরীরের জন্য উপকারী। তবে চায়ে ব্যবহৃত চিনি ওজন বাড়ায়। তাই চিনির বদলে মধু ব্যবহার করা যেতেই পারে। মধু কাশি, কফ ইত্যাদি রোগেও দারুণ উপকারী। অন্যদিকে হজম ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কার্যকর গ্রিন-টি।
ডায়েট কন্ট্রোলে থাকার সময় খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন ধরনের সুপ রাখা যেতেই পারে। অনেকেই মনে করেন ওজন কমাতে হলে মাংস খাওয়া বাদ দিতে হবে। তবে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি যেন না হয় সেদিকেও নজর রাখতে হবে। আর সেক্ষেত্রে মুরগির মাংস একটি আদর্শ খাবার।
শরীরে প্রোটিনের চাহিদা মিটিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে মুরগি এবং বিভিন্ন শাকসবজির তৈরি সুপ খাওয়া যেতে পারে। মুরগির মাংস প্রোটিনের চাহিদা মিটাবে এবং শাকসবজির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে।