বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের ‘ব্যবহারিক শিল্পকলা’ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইসমাত জাহান জানালা-সজ্জা প্রসঙ্গে বলেন, “ঘর সাজাতে হয় মনের মতো করে। বাসায় কোন ধরনের আমেজ ফুটিয়ে তুলতে চান তা বিবেচনা করে ফুল-পাতা, ঝালর, পর্দা, বাতি অথবা যে কোনো শো-পিস ঝুলিয়ে সাজাতে পারেন।”
ইসমাত জাহানের পরামর্শ ও ঘর সাজানোবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে দেওয়া কিছু পন্থা এখান দেওয়া হল। যেগুলো অনুসরণ করলে বদলে দিতে পারে ঘরের আমেজ।
লতার ব্যবহার: ঘরে সজীব-ছোঁয়া রাখতে চাইলে জানালার গ্রিল লতা বা মানি প্ল্যান্ট দিয়ে সাজানোর পরিকল্পনা করতে পারেন। ঋতু উপো্যোগী লতা দিয়ে সাজানো হলে তা দেখতে বেশ ভালো লাগে আর সময়ের সঙ্গে লতা যখন ছড়িয়ে পড়ে তখন তা ঘরের পরিবেশে সতেজ ভাব দেখা দেয়। এক্ষেত্রে মানিপ্ল্যান্ট, লতা বাহার অথবা চাইলে অর্কিডের ব্যবহার করতে পারেন।
আকর্ষণীয় পর্দা: ঘরে আভিজাত্যের ভাব ফুটিয়ে তুলতে ব্যবহার করুন আকর্ষণীয় পর্দা। স্বপ্নিল পরিবেশ আনতে চাইলে হালকা রংয়ের অথবা নকশাদার পর্দা ব্যবহার করতে পারেন। আর যদি ঘরে আনন্দময় পরিবেশ সৃষ্টি করতে চান তাহলে লেইস বা নকশাদার রঙিন পর্দা ব্যবহার করা যায়।
ঝালর বা ঝুলন্ত ঘণ্টা: ঘরে আনন্দময় পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইলে হালকা টুংটাং শব্দ হয় এমন ঝালর লাগাতে পারেন। এতে ঘরের সৌন্দর্য্য বাড়ে পাশাপাশি পরিবেশও আনন্দদায়ক হয়। জানালার সাজে ভিন্নতা আনতে চাইলে ভিন্ন আকারের রডের তৈরি ঝালর ও ঘণ্টা ব্যবহার করতে পারেন ।
উজ্জ্বল আলোর ব্যবহার: ঘরের পরিবেশে ভিন্নতা আনতে উজ্জ্বল রঙিন আলোর ব্যবহার করা যায়। একই সঙ্গে জানালা সাজানোর বিষয়টি মাথায় রেখে লণ্ঠন আকৃতির রঙিন বাতি অথবা গোলাকৃতির বাতি জানালা ঝুলাতে পারেন।
দিনের বেলায় এই ধরনের বাতি দেখতে ভালো লাগে, অনেকটা 'শো-পিসের' মতো মনে হয়। আর রাতের বেলা ঘরের আমেজে ভিন্নতা আনে।