আসবাব বিন্যাসে লক্ষণীয় বিষয়

সঠিকভাবে আসবাবপত্র না সাজালে ঘরে হাঁটাচলা করতে যেমন সমস্যা হয়, তেমন দেখতেও ভালোলাগে না। তাই ঘরের সৌন্দর্য্য বাড়াতে আসবাব বিন্যাসের ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখা উচিত।

তৃপ্তি গমেজবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Jan 2015, 11:30 AM
Updated : 5 Jan 2015, 11:34 AM

এ বিষয়ে কথা বলেন ‘বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ’য়ের গৃহব্যবস্থাপনা ও গৃহায়ন বিভাগের প্রধান নাসিমা নাসরিন। তিনি জানান ঘরে আসবাব বিন্যাসের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত। যেমন:

- আসবাবপত্র স্থাপনের সময় চলাচলে যেন অসুবিধা না হয় সেদিকে সবার আগে খেয়াল রাখা হবে।

- সবসময় দেয়াল থেকে কিছুটা দূরে আসবাব স্থাপন করা উচিত, যেন দেয়ালের সঙ্গে ঘষা না লাগে, কারণ এতে করে দেয়ালের রং

  নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং দাগ পড়তে পারে।

- বড় ও ভারি আসবাব বড় দেয়াল (দেয়ালের যে পাশে কোন জানালা বা দরজা নেই) এর দিকে এবং ছোটো আসবাব জানালার দিকে রাখা ভালো। যতটা সম্ভব দরজা ও জানালা বাদ দিয়ে আসবাব রাখা উচিত।

- ঘরের আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য ছোট আসবাব কোনাকুনি-ভাবে রাখা যায়। তবে কখনও বড় আসবাব কোনাকোনি-ভাবে রাখা ঠিক না।

- ঘরে জায়গা কম থাকলে বহুমুখি আসবাব ব্যবহার করা উচিত।

- আসবাব বিন্যাসের ক্ষেত্রে অধিক জায়গা নষ্ট করা ঠিক নয়, তবে চলাচলের জন্য অবশ্যই যথেষ্ট পরিমাণ জায়গা রাখা উচিত।

- সোফা ও চেয়ারের সামনে দুই থেকে আড়াই ফুট এবং খাওয়ার টেবিলের চারপাশে তিন ফুট জায়গা খালি রাখা উচিত।

- আলমারি বা দেরাজ খোলার জন্য এর সামনে অন্তত চার ফুট জায়গা খালি রাখা উচিত।

- বড় সোফার সামনে বড় টেবিল বা ল্যাম্পশেইড রাখা যায়। তবে ছোটো সোফার সামনে কোন ডেস্ক বা টেবিল রাখা ঠিক নয়।

- ঘরে একই বা কাছাকাছি নকশার, উপাদানের ও রংয়ের আসবাব রাখলে দেখতে ভালো লাগে।

- ছোট ঘরে বেশি আসবাব না রাখাই ভালো এতে ঘর আরও ছোট দেখায়। সেক্ষেত্রে ঘরে কেবিনেটের ব্যবস্থা করা যায়।

- ঘরের একপাশের দেয়ালে বড় আসবাব ও অন্য পাশের দেয়ালে কেবল ছোট আসবাব না রেখে ব্যবহার অনুযায়ী বড় বা ছোট আসবাব মিলিয়ে মিশিয়ে রাখা ভালো। এতে ঘরে সামঞ্জস্য বজায় থাকবে।

- ঘরের মেঝে ও ছাদের রং এবং নকশার সঙ্গে মিল রেখে আসবাব নকশা করা হলে দেখতে ভালো দেখাবে। তবে অবশ্যই সাধ্যের উপর নির্ভর করে।

- আসবাবপত্রের মাধ্যমে ঘর আকর্ষণী করা যায়। এ ক্ষেত্রে ঘরে এমন একটি আসবাব রাখতে হবে যেটি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। যেমন— ড্রয়িং রুমে সেন্টার টেবিল, বেড রুমে সো-পিস বা ল্যাম্পশেইড, ডাইনিং রুমে খাবার টেবিল বা দেয়ালের কোন আলোকচিত্রের মাধ্যমে প্রাধান্য সৃষ্টি করা যায়।