যে যাই বলুক না কেনো, শরীরের সুঠাম গড়ন ধরে রাখা সহজ কাজ নয়। এজন্য চাই প্রচুর পরিশ্রম এবং দৃঢ় মনোবল।
Published : 28 Dec 2016, 05:06 PM
শরীরচর্চা শুরু করার প্রথম কয়েকটি দিন বেশ অনুপ্রেরণাদায়ক। জরাজীর্ণ জীবনযাত্রাকে পথে আনতে আপনি বদ্ধ পরিকর। তবে ওজনটা একটু কমতে শুরু করলেই বিষয়টাকে সহজ মনে করে ফেলেন অনেকেই।
শরীরচর্চা বন্ধ করলে সুঠাম দেহের ঠিক উল্টোটা হতে পারে, কখনও খুব দ্রুত। স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইট জানিয়েছে শরীরচর্চা বন্ধের কয়েকটি অপকারীতা।
শারীরিক গঠন নষ্ট হবে দ্রুত: রাতারাতি ভুঁড়ি বের হয়ে না আসলেও শরীরচর্চা ছেড়ে দিলে দ্রুত আপনার শারীরিক গড়ন নষ্ট হবে। এটা নির্ভর করবে কতদিন ধরে নিয়মিত ব্যায়াম করছিলেন এবং কতটুকু সময় ব্যায়াম করতেন, তার উপর। আগে যারা কার্ডিও ট্রেনিং করতেন তারা ব্যায়াম ছেড়ে দিলে তিন সপ্তাহের মধ্যেই শরীরের গঠন নষ্ট হতে পারে।
যারা ভারী ব্যায়াম করতেন তাদের ক্ষেত্রে শারীরিক গঠন ব্যায়াম বন্ধ করার ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত টিকতে পারে, তবে এরপর নষ্ট হবে। হালকা ব্যায়ামে অভ্যস্তদের ক্ষেত্রে এই সময়টা কয়েক সপ্তাহ মাত্র।
ফিরে আসবে ভুঁড়ি: ব্যায়ামের রুটিন যেমনই হোক, ব্যায়াম ছেড়ে দিলে শরীর ফুলতে শুরু করবে। কারণ পেশি ক্যালরি পোড়ানো পর্যাপ্ত সুযোগ পাবে না। পাশাপাশি হজম প্রক্রিয়া হবে মন্থর। ফলে ওজন বাড়বে দ্রুত।
রক্তচাপে তারতম্য: ব্যায়াম ছেড়ে দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেদিন আপনি ব্যায়াম করবেন, সেদিন আপনার রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকবে। তবে যেদিন ব্যায়াম করা হবে না সেদিন রক্তচাপ বেড়ে যাবে। নতুন আলসে জীবনযাত্রার সঙ্গে তাল মেলাতে সময় লাগতে পারে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত।
দ্রুত হাঁপিয়ে ওঠা: শরীরচর্চা বন্ধ করে দিলে কর্মক্ষমতা ফুরিয়ে যাবে অল্প পরিশ্রমেই। ফলে কয়েকধাপ সিঁড়ি উঠতেই হাঁপিয়ে উঠতে পারেন। এর কারণ হল পেশি অক্সিজেন থেকে যে শক্তি সরবরাহ করত তা বন্ধ হয়ে গেছে।
মস্তিষ্কের উপর প্রভাব: নিয়মিত ব্যায়াম থেকে সরে আসার কুপ্রভাব আপনার মস্তিষ্কেও পড়তে পারে। ব্যায়াম বন্ধ করলে মস্তিষ্ক সবসময় ক্লান্ত এবং অসুস্থ অনুভূতি দেবে। দুশ্চিন্তা দূরে রাখতে এবং মন-মেজাজ ভালো রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা অথ্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পেশিক্ষয়: ব্যায়াম বন্ধ করার কিছু দিনের মধ্যেই আপনার সুঠাম পেশিগুলো শুকিয়ে যাবে। আর মনে রাখতে হবে, ওই পেশি পুনরায় ফিরিয়ে আনতে সময় লাগবে আরও বেশি।
ছবি: রয়টার্স।