ব্যস্ত মায়েদের ব্যায়ামের রুটিন

সন্তানের দেখাশোনা করতে গিয়ে মায়েরা নিজেদের জন্য সময়ই পান না। অথচ ব্যায়াম না করতে পারলে তার বিরূপ প্রভাব শরীরের উপরে পড়তেই পারে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 July 2016, 10:04 AM
Updated : 27 July 2016, 10:04 AM

সন্তান হওয়ার পরে তার পেছনে দৌঁড়াতে দৌঁড়াতেই মায়েদের জীবন যায়। তবে সন্তানের পেছনে যতই দৌড়াদৌড়ি করা হোক না কেনো ‘ফিটনেস’য়ে তার বিন্দুমাত্র প্রভাব ফেলে না। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে চাইলে নিয়মিত ব্যায়াম করতেই হবে।

ব্যস্ততার মাঝেও মায়েরা কীভাবে ব্যায়ামের একটা রুটিন মেনে চলবেন সেই পরামর্শই দিয়েছে জীবনযাপনবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট—

একটি সময় স্থির করা: যেভাবে রান্না করা বা সন্তানের যত্ন নেওয়ার একটা নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা থাকে তেমনি ব্যায়াম করারও একটা নির্দিষ্ট সময় স্থির করা উচিত। প্রতিদিন অন্তত ৪৫ মিনিট সময় রাখতে হবে ব্যায়াম করার জন্য। সেটা হতে পারে ভোরে কিংবা সন্তানের ঘুমের সময়।

শিশুর অংশগ্রহণ: ব্যায়াম করার এমন সময় বের করতে হবে যেখানে সন্তানও অংশ নিতে পারে। এতে শিশুও শারীরিকভাবে শক্তপোক্ত হবে আর মাও বেশি সময় মনঃসংযোগ ধরে রাখতে পারবেন। সন্তানের সঙ্গে পারস্পরিক মেল বন্ধন তৈরির জন্যও একসঙ্গে ব্যায়াম করা একটা সুন্দর অভ্যাস। একটু ছোট বয়সের শিশু মায়ের সঙ্গে যোগ ব্যায়াম করতে পারে। একটু বড় সন্তান একসঙ্গে নাচা বা হাত-পায়ের পরিশ্রম বেশি এমন ব্যায়াম বেছে নিতে চাইবে। ব্যায়ামাগারে বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটানোর মতো ব্যায়াম খুঁজে বের করতে হবে। শরীরচর্চা প্রশিক্ষক এই বিষয়ে সহযোগিতা করতে পারেন।

বাড়িতেই ব্যায়ামাগার: বাড়িতেই ব্যায়াম করলে অন্যান্য কাজের জন্য হাতে অনেক সময় পাওয়া যায়। এ ছাড়াও নিজের সুবিধা মতো সময় ব্যায়াম করা সম্ভব। যদিও বাড়িতে কোনো প্রশিক্ষক থাকে না তবে ইদানীং অনেক ধরনের ফিটনেস এক্সারসাইজের ভিডিও পাওয়া যায়। এ ছাড়াও ইউটিউব দেখেও নানান ধরনের যোগ ব্যায়াম, অ্যারোবিক্স, ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম শেখা যায় এবং এতে দামী যন্ত্রপাতি কেনার টাকাও বেঁচে যায়।

মায়েদের উপযোগী খাওয়া: একজন মাকে যেহেতু সব সময় কর্মোদ্যম থাকতে হয় সে চাইলে কম খেয়ে থাকতে পারবেন না। তাই মায়ের খাদ্য তালিকায় এমন সব খাবার থাকতে হবে যেটা তার শরীরে শক্তির যোগান দেবে।

তবে খাবারগুলো এমন হতে পারে যা বাড়তি মেদ যোগ করে না। যেমন- একজন মা অনায়াসেই চর্বিমুক্ত আমিষ, উদ্ভিজ্জ আমিষ খেতে পারেন। শর্করার বিষয়ে অবশ্যই জটিল শর্করা এবং আঁশ সমৃদ্ধ খাদ্য খেতে পারেন বেশি পরিমাণে। তবে অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় বা প্রক্রিয়াজাত খাবার তাকে তেমন শক্তি যোগাবে না উল্টা শরীরে মেদ জমে যাবে। যা তার শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

ছবি: রয়টার্স।