প্রশ্নটি পাঠিয়েছে: নাজমুস সাকিব, নোয়াপাড়া, যশোর থেকে
Published : 15 Jul 2014, 04:12 PM
স্পাইডার-ম্যানের আসল নাম হচ্ছে পিটার পার্কার। হ্যাঁ, সিনেমাতে যেভাবে স্পাইডার-ম্যানকে দেখো, মোটামুটিভাবে সেটাই আসল স্পাইডার-ম্যানের কাহিনি।
আর ওই যে বললাম, ওর ছিল বিজ্ঞানে অসাধারণ দখল। ও যখন দেখল, ওর মধ্যে মাকড়সার অনেক বৈশিষ্ট্যই চলে এসেছে, ও নিজের জন্য একটা যন্ত্র বা গেজেট বানাল। এটা থেকে মাকড়সার জালের মতো জাল বের হয়। গেজেটটা কব্জিতে পরে নিলেই ব্যস, পিটার পার্কার হয়ে যায় মাকড়সা-মানব, মানে স্পাইডার-ম্যান।
১৯৬১ সালের নভেম্বর মাস। মার্ভেল কমিকস এক নতুন কমিক সিরিজ প্রকাশ করে-- ফ্যান্টাস্টিক ফোর। মিস্টার ফ্যান্টাস্টিক, ইনভিসিবল ওম্যান, হিউম্যান টর্চ, দ্য থিং-- এই চার সুপারহিরোর দলটি তুমুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। আবার সে বছরের জুনে মার্ভেল কমিকস ‘অ্যামেইজিং ফ্যান্টাসি’ নামে একটি কমিকস ম্যাগাজিনও প্রকাশ করতে শুরু করে। কমিকস-পাঠকদের সুপারহিরোর প্রতি আগ্রহ, নতুন ম্যাগাজিন-- সব মিলিয়ে তারা আরেকটি নতুন সুপারহিরো তৈরির কথা ভাবতে শুরু করে; বিশেষ করে মার্ভেল কমিকসের মূল লেখক স্টেন লি।
১৯৬২ সালে স্টেন লি এক নতুন সুপারহিরোর পরিকল্পনা করলেন। সে অনুযায়ী স্পাইডার-ম্যানকে আঁকলেন স্টিভ ডিটকো। পরে, স্টেন লি তার আত্মজীবনীতে লেখেন, মাকড়সা-মানব তৈরির বুদ্ধি তিনি পান আরেক কমিকস চরিত্র থেকে। ত্রিশ-চল্লিশের দশকে, পাল্প ম্যাগাজিনে ‘স্পাইডার’ নামে একটি চরিত্র ছিল; অপরাধীদের বিরুদ্ধে লড়াই করত।
অবশ্য লি যখন তার আত্মজীবনী লিখেছেন, তখন আর তার স্পষ্ট মনে নেই ঘটনাটা সত্যি কিনা। সেখানে তাই লিখেছেন, “ঘটনাটা আমি প্রায়ই বলতাম বটে, তবে ঘটনাটা যে সত্যিই ঘটেছিল, সে আর এখন স্পষ্ট মনে নেই।”
এমনিভাবে, ১৯৬২ সালের অগাস্ট মাসে, ‘অ্যামেইজিং ফ্যান্টাসি’র ১৫ নম্বর সংখ্যায় জন্ম হয় সব্বার প্রিয় স্পাইডার-ম্যানের।