ই এল জেমস-এর যৌনতানির্ভর উপন্যাস ‘ফিফটি শেডস অফ গ্রে’ অবলম্বনে নির্মিত একই নামের সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে ১৩ই ফেব্রুয়ারি। সিনেমাটির মুক্তিকে ঘিরে এর মধ্যেই এক অদ্ভুত আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ দমকলকর্মীরা। তারা বলছেন, সিনেমাটির কারণে তাদের জরুরি বিভাগে ফোনকলের সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে।
Published : 13 Feb 2015, 11:08 AM
লন্ডন ফায়ার ব্রিগেড (এলএফবি) আশঙ্কা করছে, ১৩ই ফেব্রুয়ারির পর থেকে তাদের কাছে হাতকড়া কিংবা আংটায় আটকে যাওয়া মানুষের ফোনকল বেড়ে যাবে।
এলএফবি আরও জানায়, গত বছরের এপ্রিল থেকে তাদের কাছে চারশ’র কাছাকাছি এ ধরনের ফোনকল এসেছে।
এলএফবির মতে এসব ক্ষেত্রে মানুষের উপস্থিত বুদ্ধির সাহায্য নেওয়া উচিৎ এবং সত্যিকারের বিপজ্জনক পরিস্থিতিতেই কেবল তাদের জরুরি বিভাগে ফোন করা উচিৎ।
জেইমি ডোরন্যান এবং ডাকোটা জনসন অভিনীত সিনেমাটি এগিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রী আনাস্তাসিয়া স্টিল এবং তার ধনাঢ্য ধর্ষকামী প্রেমিক ক্রিশ্চিয়ান গ্রেকে নিয়ে। গল্পের খাতিরেই সিনেমায় সংযুক্ত করা হয়েছে বেশ কিছু লম্বা যৌনদৃশ্য; যার অনেকগুলোতেই হাতকড়া এবং বাঁধার কাজে ব্যবহৃত জিনিস দেখানো রয়েছে।
এলএফবির পক্ষ থেকে ডেভ ব্রাউন বলেছেন, “ফিফটি শেডসের প্রভাবে হাতকড়া নিয়ে নানা ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা তাই আশা করছি, সিনেমার দর্শকেরা এক্ষেত্রে বুদ্ধির পরিচয় দেবেন এবং নিজেদেরকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচাবেন।”
তিনি আরও জানান, এরকম একেকটি ঘটনায় ২৯৫ পাউন্ডের মতো খরচ হয় তাদের, যা কী না ব্রিটিশ নাগরিকদের করের টাকা থেকেই খরচ হয়।
ব্রাউন জানান, গত নভেম্বরেই এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল, যেখানে ফোনকল পেয়ে এক ব্যাক্তি যৌনাঙ্গ থেকে তিন দিন ধরে আটকে থাকা স্টিলের আংটা খুলে বের করতে হয় তাদের।
আরেকটি ঘটনায় ফোনকল আসে এক নারীর কাছ থেকে, যার স্বামী আটকা পড়েছিলেন একটি বেল্টের ফাঁসে।
ব্রাউন বলেন, “এসব ক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ, এরকম বিপজ্জনক কিছু করারই দরকার নেই।”
ব্রিটিশ লেখক ই এল জেমসের ফিফটি শেডস ট্রিলজির প্রথম উপন্যাস 'ফিফটি শেডস অফ গ্রে' মুক্তি পায় ২০১১ সালে। উপন্যাসটি খুব দ্রতুই যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে বেস্ট সেলারে পরিণত। বিশ্বজুড়ে এই সিরিজের একশ' মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছে এবং ৫২টি ভাষায় এই সিরিজটি অনুদিত হয়েছে।