ন্যান্সির ফুপাতো ভাই আমিনুজ্জামান রিটন গ্লিটজকে সকালে জানান, তার অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। তবে উন্নত পরিবেশে রেখে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসার জন্য ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে তাকে। ঘুমের বড়ি খাওয়ার প্রসঙ্গ তুলতেই এ বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।
এদিকে ন্যান্সির সহশিল্পী নিয়ামুল হাসান পুটু বলছেন, সমস্যা যদি পারিবারিক হয়ে থাকে তাহলে ওষুধ খাওয়ার কারণ পরিবারের লোকজনই ভালো বলতে পারবে।
তিনি আরও জানান, তার সঙ্গে ১৩ অগাস্ট শো করেন ন্যান্সি। ঢাকায় আয়োজিত অনুষ্ঠানটিতে সে সময় হাসিখুশি ও প্রাণবন্ত দেখা গেছে তাকে। এমনকি ২২ অগাস্টের পর আরও তিনটি শো করার কথা রয়েছে।
১৬ অগাস্ট, শনিবার সন্ধ্য্যায় নেত্রকোণায় নিজ বাসায় অতিরিক্ত ঘুমের বড়ি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন এই সংগীত শিল্পী। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। এখন ল্যাব এইড বিশেষায়িত হাসপাতালের আইসিইউতে আছেন তিনি।
ল্যাব এইডের এজিএম (কর্পোরেট কমিউনিকেশনস) সাইফুর রহমান লেনিন গ্লিটজকে জানিয়েছেন ন্যান্সি এখন সম্পূর্ণ আশঙ্কামুক্ত। রোববার রাতেই তাকে ছেড়ে দেওয়া সম্ভব।
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ মোহম্মদ ফরাহাদউদ্দিনের তত্ত্বাবধানে আছেন তিনি।
চিকিৎসকরা আরও বলছেন, ন্যান্সি এখন উইথড্রয়াল সিনড্রোমের মধ্য্য দিয়ে যাচ্ছেন, যার ফলে প্রলাপ বকছেন তিনি।
লেলিন বলেন, “কিছুটা সাইকোলজিক্যাল ইলনেস কাজ করছে ন্যান্সির মধ্যে। সকালের দিকে প্রলাপ বকছিলেন তিনি। অবশ্য দুপুর গড়াতেই ক্রমে শান্ত হয়ে একসময় ঘুমিয়ে পড়েন।”