শনিবার রাতে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসার পর সকালে ল্যাবএইড বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ল্যাব এইডের এজিএম (কর্পোরেট কমিউনিকেশনস) সাইফুর রহমান লেনিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ন্যান্সিকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
“আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি, অবস্থা মোটামুটি স্থিতিশীল। স্যালাইন চলছে। তবে ওষুধের প্রভাব এখনো কাটেনি। মাঝেমধ্যে প্রলাপ বকছেন।”
২০১১ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া সংগীতশিল্পী ন্যান্সির বাড়ি নেত্রকোনায়। জেলা শহরের সাতপাই এলাকায় বাবার বাড়িতেই তিনি থাকেন।
ছোট দুই ভাই সানি ও জনি শনিবার সন্ধ্যায় গুরুতর অসুস্থ ন্যান্সিকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ন্যান্সিকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে পাঠানো হয় বলে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক খালেদ মোশাররফ জানান।
হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্স সুফিয়া জেসমিন জানান, শুক্রবার রাতে ২০টি এবং শনিবার আরো ৪০টি বড়ি খান ন্যান্সি।
ময়মনসিংহ মেডিকেলে ন্যান্সির অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় রাতেই তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মো. হায়দার আলী জানান, রোববার সকাল ৬টার দিকে স্বজনরা ন্যান্সিকে হাসপাতালে এলে নতুন ভবনের ৮০১ নম্বর কক্ষে তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়।
ঢাকা মেডিকেলের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক খন্দকার শোয়েব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি, উনার অবস্থা অনেকটা স্বাভাবিক, আশঙ্কার কিছু নেই। উনি নিজেই চলে যেতে চাওয়ায় সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আমরা রিলিজ করে দিয়েছি।”
ঢাকা মেডিকেল থেকে নিয়ে এসে এরপর ন্যান্সিকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা।
ল্যাব এইডের এজিএম লেনিন বলেন, এই মুহূর্তে ন্যান্সির গুরুতর কোনো সমস্যা না থাকলেও পুরো সুস্থ হতে সময় লাগবে।
জনপ্রিয় এই কণ্ঠশিল্পী কেন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন সে বিষয়ে পরিবারের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তিনি রোদেলা ও নায়লা নামে দুই কন্যা সন্তানের মা।