সন্ত্রাসী হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে গেলেন আরিয়ানা গ্রান্ডে

তার গান শুনতে এসে লাশ হয়ে ফিরেছেন ২২ জন; ম্যানচেস্টারে ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলার পর আরিয়ানা গ্রান্ডে নিজেই জানিয়েছিলেন, ভেঙে পড়েছেন তিনি। এবার জানা গেল লন্ডনের কনসার্ট বাতিল করে নিজ দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে গেলেন এই পপ তারকা।

সোমবার ম্যানচেস্টারের কনসার্টের পর আরিয়ানা গ্রান্ডের পরবর্তী কনসার্টটি হওয়ার কথা ছিল লন্ডনে। নিজের দ্বিতীয় ওয়ার্ল্ড ট্যুরের অংশ হিসেবে তাই মধ্যবর্তী সময়টি যুক্তরাজ্যেই কাটানোর কথা ছিল তার। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে সব; এখন সংশয় দেখা দিয়েছে আরিয়ানার ওয়ার্ল্ড ট্যুরের ভবিষ্যত নিয়েই।

‘প্রবলেম’, ব্রেক ফ্রি’, ‘লাভ মি হার্ডার’ সিহ বেশ কিছু একক গান গেয়ে তরুণ ভক্তদের প্রিয় তারকায় পরিণত হন পপ গায়িকা আরিয়ানা। ২০১৩ সালে প্রথম একক ‘ইয়োরস ট্রুলি’ প্রকাশিত হয় এ তারকার। ২০১৬তে প্রকাশিত হয় তার তৃতীয় একক অ্যালবাম ‘ডেনজারাস উইমেন’। চলতি বছরের মে মাসে কেরিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ার্ল্ড ট্যুরে বের হন এ তারকা। যুক্তরাজ্যের পর, বেলজিয়াম, পোল্যান্ড, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড ও ফ্রান্সেও গান গাওয়ার কথা ছিলো তার।

সোমবার রাতে ম্যানচেস্টারে আরিয়ানা গ্রান্ডের কনসার্ট শেষে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনায় প্রাণ হারান ২২ জন এবং আহত হন প্রায় ১২জন। এ ঘটায় স্তম্ভিত হয়ে পড়েন আরিয়ানা সহ পশ্চিমা তারকারা। তাৎক্ষনিকভাবে টুইট পোস্টে আরিয়ানা জানিয়েছিলেন, তার হৃদয় ভেঙ্গে গেছে। এরপর থেকেই শোনা গিয়েছিলো এই তারকার ওয়ার্ল্ড ট্যুর বাতিলের গুঞ্জন।

সম্প্রতি ডেইলি মেইলে প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে, এরই মধ্যে ট্যুর বাতিল করে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরছেন আরিয়ানা। ছবিতে এ তারকাকে দেখা গেছে তার ব্যক্তিগত বিমানে সামনে দিকে যেতে। এ সময় বিমানের সামনে অপেক্ষারত একটি গাড়িতে বসে থাকা প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা গেছে তাকে। শিগগিরই ফ্লোরিডায় পরিবারের সঙ্গে মিলিত হবেন ২৩ বছর বয়েসি এ তারকা।

এদিকে ম্যানচেস্টারে হামলার ঘটনার ৪৮ ঘন্টা না পেরোতেই আতঙ্কিত হয়ে পপ তারকা জাস্টিন বিবারের কনসার্ট বাতিলের অনুরোধ করেছেন তার ভক্তরা । আসছে জুলাইতে লন্ডনের হাইড পার্কে গান গাওয়ার কথা ছিলো বিবারের।

কনসার্টে হামলার ঘটনায় সালমান আবেদি নামের ২২ বছর বয়েসি এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। এরই মধ্যে আইএস এ ঘটনার দায়ভার স্বীকার করে নিয়েছে। তবে প্রকৃত হামলাকারীদের পরিচয় সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত নয় যুক্তরাজ্যের পুলিশ প্রশাসন।