প্রথিতযশা নির্মাতা বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত গুরুতর অসুস্থ হয়ে কলকাতার পিয়ারলেস হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সেখানে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষেণে রয়েছেন তিনি।
Published : 25 Nov 2016, 01:02 PM
কলকাতা থেকে গ্লিটজকে তার অসুস্থতার খবরটি নিশ্চিত করেছেন ইন্ডিয়ান ফিল্ম ক্রিটিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রেমেন্দ্র মজুমদার।
প্রেমেন্দ্র মজুমদার জানিয়েছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ২৩ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হন এ নির্মাতা। ভর্তির পরপরই চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষেণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। শনিবার অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার হৃদপিণ্ডে পেসমেকার স্থাপনের কথা রয়েছে।
তার অসুস্থতার বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রেমেন্দ্র মজুমদার গ্লিটজকে বলেন, “বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত এখনও আইসিইউতে আছেন। তবে, এখন কিছুটা স্বাভাবিক আছেন। আগামীকাল তার একটি অপারেশন হওয়ার কথা রয়েছে। আমি আপনাদের ভালোবাসা ও উদ্বেগের কথা তাকে জানিয়েছি। আশা করছি শিগগিরই তিনি সুস্থ হয়ে তার নতুন চলচ্চিত্র নির্মাণে যুক্ত হতে পারবেন।”
সর্বশেষ বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র ‘উড়োজাহাজ’ নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিলেন বুদ্ধদেব। এ লক্ষ্যে ডিসেম্বরের শুরুতেই ঢাকায় আসার কথা ছিলো তার। চলচ্চিত্রটিতে গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী।
নির্মাতার অসুস্থতার খবর জানিয়ে গ্লিটজকে তিনি বলেন, “দাদা অসুস্থ। আমি আজই তাকে দেখতে কলকাতা যাচ্ছি। কাল তার অপারেশন হবে। পেসমেকার বসানো হবে। কিডনীতেও জটিলতা তৈরি হয়েছে। তার জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করি।”
চলতি মাসের শুরুতে বাংলাদেশে আসেন নির্মাতা বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। এ যাত্রা তার নির্মিত ‘টোপ’ সিনেমাটির প্রিমিয়ারসহ বেশ কিছু অনুষ্ঠানেও অংশ নেন তিনি।
ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্রে বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত এক অমোচনীয় নাম। তার পরিচালিত প্রতিটি ছবিই প্রশংসিত। তার পরিচালিত পাঁচটি ছবি ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে- ১৯৮৯ সালে ‘বাঘ বাহাদুর’, ১৯৯৩ সালে ‘ চরাচর’, ১৯৯৭ সালে ‘ লাল দরজা’, ২০০২ সালে ‘মন্দ মেয়ের উপাখ্যান’ এবং ২০০৮ সালে ‘কালপুরুষ’ সেরা ছবি হিসাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায়।
এছাড়া ‘উত্তরা’ ছবির জন্য ২০০০ সালে এবং ‘স্বপ্নের দিন’র জন্য ২০০৫ সালে সেরা পরিচালক হিসাবে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তার নির্মিত ছবি সাড়া জাগিয়েছে। পৃথিবীর নানা দেশের চলচ্চিত্র উৎসবে নিয়মিত প্রদর্শিত হয় তার ছবি।