ভারতীয় বেসরকারি টিভি চ্যানেল জি বাংলার জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো ‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার ৯’ - এর অডিশন পর্ব শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। শুক্রবার সকাল ১০ টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচা উচ্চ বিদ্যালয়ে হয়ে গেল প্রথম অডিশন।
Published : 19 Sep 2015, 02:13 PM
হাস্যরসাত্মক এই রিয়ালিটি শোয়ে অংশ নিতে ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের জেলাগুলো থেকে হাজারো তরুণ এসেছিলেন অডিশন দিতে। শুক্রবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলেছে প্রথম দিনের অডিশন।
দিনের আলো বাড়ার সঙ্গে সেগুনবাগিচা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বাড়তে থাকে প্রতিযোগীর সংখ্যা। কেউ এসেছেন সুদূর গ্রাম থেকে, আবার কেউ এ শহরেরই মানুষ। সবার উদ্দেশ্য একটাই- ‘মীরাক্কেলের প্ল্যাটফর্মে পারফর্ম করা, জয়ী হওয়া’।
নারায়নগঞ্জ থেকে বাবা-মাকে নিয়ে ছুটে এসেছে ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া ঈশিকা শিঞ্জন সরোজ। অডিশন দিতে যাওয়ার আগে সে জানালো, এবারের আসরের চ্যাম্পিয়ন হতেই এসেছে সে।
ঢাকা কমেডি ক্লাবের পরিচালক এমদাদুল হক হৃদয়ও অংশ নিয়েছেন অডিশনে।। তার উদ্দেশ্য, ‘স্মার্ট’ ফরম্যাটের স্ট্যান্ডআপ কমেডিতে বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নেয়া।
প্রতিযোগিরা কেউ কাউকে চেনেন না, জানেন না, মাত্র ঘণ্টা দেড়েকের আলাপচারিতা। তাতেই বন্ধুত্ব হয়ে গেল অনেকের। কে জিতবেন, কে হারবেন- সে হিসেবে না গিয়ে তারা মেতে রইলেন হাসি-তামাশায়।
এবার সরাসরি ‘ইয়েস কার্ড’ দেওয়া হচ্ছেনা বলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়। অডিশনে নির্বাচিত প্রার্থীকে জানানো হল, তিনি থাকছেন পরবর্তী গ্রুমিং সেশনে।
গেল আসরগুলো থেকে এবারের ‘মীরাক্কেল’ একটু আলাদা। ‘বিশেষ চমক’ থাকছে বলে জানালেন আসরের মেন্টর ও অডিশনের অন্যতম বিচারক কৃষ্ণেন্দু চ্যাটার্জি।
অডিশন পর্বের অপর বিচারক হলেন পলাশ অধিকারী। এছাড়া বিচারকদের সঙ্গে সার্বিক সহায়তায় ছিলেন ‘মীরাক্কেল’- এর গেল আসরগুলোতে বাংলাদেশের হয়ে মঞ্চ মাতানো আবু হেনা রনি, শাওন মজুমদার, ইশতিয়াক নাসির, জামিল হোসেন, সজল ও শশী।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, শুক্রবার একই সময়ে ঢাকা ও বগুড়ায় ‘মীরাক্কেল’-এর অডিশন হয়েছে। বগুড়ার অডিশন পর্বে উপস্থিত ছিলেন ‘মীরাক্কেল-৬’ আসরের চ্যাম্পিয়ন ভিকি -পার্খ, অর্ণব এবং পরশ। ২০ সেপ্টেম্বর রয়েছে চট্টগ্রাম এবং খুলনার অডিশন পর্ব। এবার মোট ৪টি ভেন্যুতে অডিশন পর্ব চলবে বলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হয়।
কৃষ্ণেন্দু চ্যাটার্জি গ্লিটজকে বলেন, “বাংলাদেশের প্রতিযোগিরা অনেক বেশি মেধাবী। তারা ভিন্ন কিছু করতে জানে। যার উদাহরণ বিগত কয়েক সিজনে বাংলাদেশিরা করে দেখিয়েছে। আবু হেনা রনিদের জন্ম দিয়েছে।”
মীরাক্কেলের আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তার নেপথ্যের কারণ জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের টিমওয়ার্ক অনেক জোরালোভাবে করা হয়, যাতে মানুষ ভালো কিছু পায়। পরিচালক শুভংকরের শাসন, দক্ষ পরিচালনা, ব্যান্ডেজের সংগীত উত্তেজনা আর তুখোড় উপস্থাপক মীরের মুখরোচক উপস্থাপনা। এসব কিছু মিলেই মীরাক্কেল আজ এত জনপ্রিয়।”
“জি বাংলা টিম পরিপূর্ণ সাপোর্ট দেয় বলেই, মীরাক্কেল আজ এখানে”- যোগ করতে ভুললেন না কৃষ্ণেন্দু।
“মীরাক্কেল শুধু হাসির খোরাক নয়, শিক্ষার অংশও বটে।”
প্রতিবারের মতো এবারও পরান বন্দোপাধ্যায়, রজতাভ দত্ত রনি এবং শ্রীলেখা মিত্র বিচারকের দায়িত্ব পালন করবেন। আর উপস্থাপক হিসেবে মীর তো থাকছেনই।
ছবি-- আব্দুল মান্নান দীপ্ত, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম