চরিত্র এবং সিনেমা নির্বাচনের ক্ষেত্রে বড়ই খুঁতখুঁতে টালিগঞ্জের অভিনেত্রী পার্নো মিত্র। এমনকি সৃজিত মুখোপাধ্যায়কেও তিনি দুবার ফিরিয়ে দিয়েছেন।
Published : 18 Sep 2015, 04:51 PM
এর আগে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের 'হেমলক সোসাইটি' ও 'চতুষ্কোণ'-এ অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন দ্বিধা না করেই। এমনকি মৈনাক ভৌমিকের ‘কলকাতা কলিং’-এ রিয়া সেন অভিনীত চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাবও ফিরিয়েছেন।
তবে এহেন বাছ-বিচার করা অভিনেত্রীও পড়ে গেলেন 'রাজকাহিনি'র প্যাঁচে। পশ্চিমবঙ্গের দৈনিক এই সময়কে পার্নো বলেন, “তাই তো ‘রাজকাহিনি’র সময় বললাম, আমি চিত্রনাট্যও শুনতে চাই না। এই যে ফোনটা আবার আমার কাছে এসেছে, সে জন্যই আমি হ্যাঁ বলেছি!”
আরও বললেন, “ছোটবেলায় আমরা স্কুলে সবাই এতো ইতিহাস পড়েছি, কিন্তু যখন দর্শক ছবিটা দেখবেন আমার মতোই মনে হবে, ভারত-বাংলাদেশে পার্টিশনের সময় ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনার কত কিছু আমরা জানি না। প্রত্যেকটা চরিত্র সৃজিত যেভাবে সাজিয়েছে, কবির নামে একটা চরিত্র রয়েছে, যিশু যে চরিত্র করছে, সেটা আমায় এতো নাড়া দিল...”
দেব বা জিতের নায়িকার হওয়ার ইচ্ছাটাও তাই তেমন একটা নেই পার্নোর
“বাণিজ্যিক ছবির ফরম্যাটে আমি এক কথায় ওদের কাছে হেরে যাব! কোয়েল (মল্লিক) হিল পরে কি রকম নাচেন দেখেছেন? আমি অল্প একটু হিল পরে নেচেও উতরোতে পারব না! পা ব্যথা হয়ে যায়৷ তবে দেব বা জিৎ যদি অন্য ধরনের ছবি করে তা হলে নিশ্চয়ই করব৷”
২০১১ সালে অঞ্জন দত্ত পরিচালিত ‘রঞ্জনা আমি আর আসবো না’ সিনেমাটির মাধ্যমে আলোচনায় আসেন পার্নো। পরের বছর আবারও অঞ্জনের ‘দত্ত ভার্সাস দত্ত’ এবং ‘বেডরুম’। এরপর ‘কয়েকটি মেয়ের গল্প’, ‘আমি আর আমার গার্লফ্রেন্ড’ ‘মাছ, মিষ্টি, মোর’, ‘শেষ অঙ্ক’, ‘গ্ল্যামার’ ইত্যাদি সিনেমায় দেখা গেছে তাকে।