গত বছর ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলংকা, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড সম্মিলিতভাবে ৮০ লাখ টন সামুদ্রিক মাছ আহরণ করেছে, যেখানে বাংলাদেশের আহরণের পরিমাণ মাত্র ৭৩ হাজার টন।
শনিবার চট্টগ্রামে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অফ বাংলাদেশ (আইবিএফবি) চিটাগাং চ্যাপ্টার আয়োজিত ‘ব্লু ইকোনমি- বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
এতে ‘সমুদ্রসীমা ও বাংলাদেশের ব্লু ইকোনমির সম্ভাবনা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উস্থাপন করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের (এমএইউ) সচিব রিয়ার এডমিরাল (অব.) খুরশিদ আলম।
তিনি বলেন, “আমাদের মোট সমুদ্রসীমা ৬৬৪ কিলোমিটার হলেও মাছ ধরার কাঠের ট্রলারগুলো সমুদ্রের সর্বোচ্চ ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার গভীরে যেতে পারে।
“আধুনিক মাছ ধরার ট্রলার ও সমুদ্রের সম্পদ আহরণে সক্ষম জাহাজ ও প্রযুক্তির অভাবে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার সমুদ্রাঞ্চল থেকে আমরা কিছুই আহরণ করতে পারছি না।”
দেশের সমুদ্রসীমার মধ্যে বিপুল পরিমাণ মৎস্য সম্পদ আহরণে ‘ডিপ সি ফিশিং ভ্যাসেল’ ও ‘লং লাইন শিপ’ সংগ্রহের উপর জোর দেন তিনি।
মাছ উৎপাদন বিশ্বজুড়ে সমুদ্রে কেজ কালচারসহ নানা পদ্ধতিতে চাষ হচ্ছে উল্লেখ তিনি বলেন, এসব পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ৯০ মিলিয়ন টন মাছ উৎপাদিত হচ্ছে। বাংলাদেশও এসব পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারে।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, সমুদ্র ঘিরে পরিবহন, পর্যটন, জ্বালানি, জাহাজ নির্মাণ, বন্দর ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি, সমুদ্র বিজ্ঞান ও সাবমেরিন ও মাইনিং খাতকে সক্ষম করে তোলা যায়।
এজন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সমুদ্র বিশেষজ্ঞ তৈরিতে নতুন নতুন ইনস্টিটিউট চালুর মাধ্যমে ব্লু ইকোনোমিকে এগিয়ে নিতে সরকারকে অগ্রণী ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন আইবিএফবির সভাপতি হাফিজুর রহমান খান।
অন্যদের মধ্যে এতে বক্তব্য রাখেন ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আইবিএফবি চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সভাপতি মো. সাখাওয়াত হোসেন ও সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহমুদুল হাসান ইসলাম চৌধুরী।