টেকসই প্রবৃদ্ধিতে ‘ব্লু ইকোনমি’ চায় বাংলাদেশ

ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারিত হওয়ার পর সাগরের সম্পদ আহরণ ও তা কাজে লাগানোর বিষয়ে অভিজ্ঞতা নিতে আন্তর্জাতিক কর্মশালার আয়োজন করবে বাংলাদেশ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 August 2014, 01:26 PM
Updated : 31 August 2014, 01:48 PM

সমুদ্র অর্থনীতি (ব্লু ইকোনমি) নিয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় এই কর্মশালায় এক সঙ্গে ২০টি দেশের বিশেষজ্ঞ ও প্রতিনিধিরা অংশ নিতে যাচ্ছেন।

মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো শুরু হতে যাওয়া দুদিনব্যাপী এই কর্মশালার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে ওই দুদেশের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারিত হওয়ায় বাংলাদেশ এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার সমুদ্র অঞ্চল, ২০০ নটিক্যাল মাইলের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানে অবস্থিত সব ধরনের প্রাণিজ ও অপ্রাণিজ সম্পদের ওপর সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার অধিকার পেয়েছে।

তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এই বিপুল সমুদ্র সম্পদের ব্যবহারের জন্য দেশের দক্ষতা ও প্রযুক্তির ঘাটতি রয়েছে, যার প্রতিবেশি দেশগুলোসহ বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব চাইবে বাংলাদেশ। এছাড়া একটি সমুদ্রসীমা নীতিমালা প্রণয়নের কথাও ভাবছে সরকার।

এই কর্মশালার মাধ্যমে সমুদ্র সম্পদ ব্যবহারে অভিজ্ঞ দেশগুলোর সঙ্গে সংযোগ তৈরি ও সম্পর্ক নির্মাণ করা হবে এবং সমুদ্রভিত্তিক ব্লু ইকোনমির নানামাত্রিকতা ও গতিশীলতা সম্পর্কে জানবে বাংলাদেশ।

তিন অধিবেশনের এই কর্মশালায় অস্ট্রেলিয়া, সিসিলি, সুইডেন, ওমান, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা, ফিলিপিন্স, জাপান, ভারত, নেদারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, যুক্তরাষ্ট্র, কেনিয়া, মরিশাস, তানজানিয়া ও মিয়ানমারের কমপক্ষে ৩২ জন প্রতিনিধি অংশ নেবেন।

কর্মশালায় যোগ দিতে এর মধ্যেই ঢাকায় এসেছেন শ্রীলঙ্কার মৎস্য ও পানিসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী রাজিথা সেনারত্নে।

এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, এখানে বঙ্গোপসাগরের একটি ‘ভূ-কৌশলগত সংযোগের’ বিষয় থাকলেও নিতান্তই উন্নয়নের প্রেক্ষাপটে এই কর্মশালা হচ্ছে। উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে সমুদ্র অর্থনীতিকে কীভাবে ব্যবহার করা যায় তা আলোচনা করাই এই বৈঠকের লক্ষ্য।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমুদ্রসীমা বিষয়ক সচিব মো. খোরশেদ আলম বলেন, “এটা (ব্লু ইকোনমি) সাগরে মাছ আহরণ নয়।  এর অর্থ নীল সাগরের সম্পদ ব্যবস্থাপনার সুবিধা ও কৌশল বিবেচনায় নিয়ে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন।”

বাংলাদেশের প্রায় তিন কোটি মানুষের জীবনযাত্রা মাছ চাষ ও বাণিজ্যিক পরিবহণের মতো সমুদ্র অর্থনীতির কার্যক্রমের উপর নির্ভরশীল।