বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হাটে ক্রেতাদের ক্রয়সীমা দ্বিগুণ হচ্ছে, বিক্রেতাদের সংখ্যা দ্বিগুণের চিন্তাও হচ্ছে।
Published : 15 Aug 2015, 04:21 PM
সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হাট সমঝোতা স্মারক নবায়ন সংক্রান্ত বৈঠকে ক্রয়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়।
বর্তমানে বর্ডার হাটে একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ১০০ ডলারের সমপরিমাণ মুল্যের পণ্য কিনতে পারেন। এখন এই অঙ্ক ২০০ ডলার করা হবে। ভারত একজন ক্রেতার ক্রয়সীমা বাড়িয়ে ৩০০ ডলারের প্রস্তাব করেছিল।
২৫ জন করে বিক্রেতা (ভেন্ডর) অংশ নেন একটি সীমান্ত হাটে। বৈঠকে এই সংখ্যা বাড়িয়ে ৫০ জন করার প্রস্তাব এসেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনোজ কুমার রায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভারতের পক্ষ থেকে প্রস্তাব আসার পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বর্ডার হাট সংশ্লিষ্ট অন্যান্য স্টেক হোল্ডারদের মতামত নিয়েছে। ক্রেতার ক্রয় সীমা ও বিক্রেতার সংখ্যা বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার পক্ষে মত দিয়েছে সবাই।”
এই সিদ্ধান্ত কার্যকরে সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে জানান তিনি।
২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় সীমান্তের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসরত জনগণের সুবিধার জন্য সীমান্ত হাট (বর্ডার হাট) চালুর সিদ্ধান্ত হয়।
প্রথমে দুটি হাট স্থাপনের কথা থাকলেও দুই দেশের জনগণের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে তিনটি হাট স্থাপন করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা, সুনামগঞ্জের লাউয়াগড় ও ফেনীর ছাগলনাইয়ায় এই তিনটি হাট চলছে।
এছাড়া আরও কয়েকটি হাট চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে উভয় দেশ। ভারতের পক্ষ থেকে ২০১৩ সালে ২২টি হাট স্থাপনের একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এই হাট স্থাপনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল সীমান্তের প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগণ, যাদের নিকটবর্তী কোনো হাট বাজারে পণ্য কেনা-বেচার সুযোগ নেই, তারা তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতের সুযোগ তৈরি করা।
সীমান্ত হাটে শাড়ি, সংশ্লিষ্ট এলাকার ঐতিহ্যবাহী পণ্য, শিক্ষা উপকরণ ও জুতা-স্যান্ডেল, প্লাস্টিক সামগ্রী, মেলামাইন পণ্য, তরকারি কেনা-বেচা হয়।
সীমান্ত হাটগুলো সপ্তাহে একদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে।