চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী কুঞ্জছায়া আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে চুরি হওয়া দুই মাস বয়সী শিশু শরিফকে ১৮ দিনেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
Published : 07 Aug 2017, 09:13 PM
এ ঘটনায় দুই নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার হলেও পুলিশ এখনও শিশুটির সন্ধান পায়নি।
গত ২০ জুলাই কুঞ্জছায়া আবাসিক এলাকার ৪ নম্বর রোডের ইউসুফ কলোনির বাসা থেকে শরিফ নামের দুই মাস বয়েসী শিশুটিকে চুরি হয়।
লেগুনাচালক ফজলুর রহমান ওই বাসায় তার স্ত্রী, শিশু সন্তান শরীফ ও চার বছর বয়সী মেয়ে ফারজানাকে নিয়ে থাকেন।
চুরির পর বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন জানিয়েছিলেন, কুঞ্জছায়া আবাসিক এলাকার ভিডিও ফুটেজ থেকে দেখা গেছে, সালোয়ার-কামিজ পরা এক মহিলা এক শিশুকে কোলে করে নিয়ে যাচ্ছে।
সোমবার শিশুটির মা পারভিন আক্তার রুনা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঘটনার দিন দুপুরে আমি দুই সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম। ঘুম ভাঙ্গার পর দেখি পাশে শরীফ নেই।”
শরিফকে চুরি করার দুইদিন আগে দুই নারী তাদের বাসায় এসেছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, “সেসময় তাদের একজন পানি খেতে চাইলে আমি তাকে পানি দিই। এসময় ওই মহিলা আমার পেছনে পেছনে বাসায় প্রবেশ করে।
“তখন সে আমার চার বছয় বয়সী সন্তান ফারজানাকে তার সাথে যাওয়ার জন্য প্রলুব্ধ করে। আমি তার প্রতিবাদ করলে ওই মহিলা তাকে আবার দিয়ে যাবেন বলে জানান।”
তিন মাস আগে তারা বাসাটি ভাড়া নেন জানিয়ে রুনা বলেন, “যে দুইজন মহিলা বাসায় এসেছিল তাদের একজনের বয়স আনুমানিক ৩৫ ও আরেকজনের বয়স আনুমানিক ২৪ থেকে ২৬ বছর।”
সোমবার ওই বাসায় গিয়ে দেখা যায় নির্মাণাধীন ভবনটির নিচতলায় ছোট ছোট কক্ষে নিম্নআয়ের মানুষকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। ভবনটিতে চারদিকে প্রবেশের জায়গা আছে।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন জানান, যে নারী শিশুটিকে নিয়ে গেছে সে একদিকে ঢুকে অন্যদিক দিয়ে চলে যায়।
“তবে ওই মহিলা যেদিক দিয়ে প্রবেশ করেছে সেদিকের একটি ভবনের সিসি ক্যামেরা বিকল থাকায় মহিলার ছবি পাওয়া যায়নি। আর যেদিকে বের হয়েছিল সেদিকের একটি ভবন থেকে সংগ্রহ করা ফুটেজে ওই মহিলা শিশুটিকে ওড়না পেঁচিয়ে নিয়ে যাওয়ার ছবি দেখা গেলেও তার চেহারা দেখা যায়নি।”
এই ঘটনায় সুপ্তা আক্তার লিমা (২২), আমেনা (৩৫) ও নুরুল হাকিম (৩০) নামে তিনজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সঞ্জয় পাল বলেন, “শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য কাজ চলছে।”