সোনা চোরাচালান মামলার আসামি এক রাজস্ব কর্মকর্তাসহ তিনজনকে জামিন দিয়েছে চট্টগ্রামের একটি আদালত।
Published : 07 Jun 2017, 07:53 PM
এরা হলেন- সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আনিসুর রহমান, বিমান বাংলাদেশের ট্রাফিক হেলপার কে এম নুরদ্দিন এবং আনসার সদস্য মাহফুজার রহমান।
বুধবার চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. শাহে নূর আসামিদের করা আবেদনের শুনানি শেষে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
মামলার অভিযোগপত্রভূক্ত এই আসামিদের মধ্যে আনিসুর রহমান ৭ মার্চ এবং কে এম নুরুদ্দিন পরদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। অন্যজন পুলিশের হাতে ধরা পড়েন।
শাহ আমানত বিমানবন্দর দিয়ে পাচারের সময় ২৫টি সোনার বার উদ্ধারের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ মামলাটি দায়ের করে।
এদিন মামলাটির শুনানিতে দুদকের পক্ষে আসামিদের জামিনের বিরোধিতা করা হয় বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান সংস্থাটির আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু ।
“জামিন চেয়ে আবেদনে আসামিরা বলেন- তারা নিম্নপদের কর্মচারী এবং তিন মাস ধরে কারাগারে আছেন। কিন্তু আমরা এর বিরোধিতা করেছিলাম।”
দুদকের সহকারী পরিচালক এইচএম আখতারুজ্জামান ২০১৬ সালের ১৬ জুন সাত জনকে আসামি করে এ মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন।
অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে স্বর্ণ পাচারকারীকে বাঁচাতে মিথ্যা জব্দ তালিকা তৈরি এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
মামলাটির অভিযোগপত্রভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবস্থাপকের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী মোমেন মোকশেদ, আনসারের সহকারী প্লাটুন কমাণ্ডার ইলিয়াস উদ্দিন, আনসার সদস্য শাহিন মিয়া এবং দুবাই প্রবাসী আলাউদ্দিন চৌধুরী।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১ নভেম্বর দুবাই থেকে এয়ার এরাবিয়ার একটি বিমানে করে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে আসেন আলাউদ্দিন চৌধুরী।
ওইদিন তার ব্যাগ হারিয়ে গেছে অভিযোগ করে তিনি বিমানবন্দর ছাড়েন। পরদিন বিমানবন্দরের ‘হারানো ও প্রাপ্তি’ শাখায় আলাউদ্দিনকে নিয়ে হাজির হন বিমানবন্দরটির তখনকার ব্যবস্থাপকের ব্যক্তিগত সহকারী মোমেন মোকশেদ।
তারা ব্যাগটি নিয়ম বহির্ভূতভাবে ছাড় করানোর চেষ্টা করলে স্ক্যানিং করে তাতে ২৫টি সোনার বার পাওয়া যায়। এরপর সেখান থেকে সরে পড়েন মোমেন মোকশেদ ও আলাউদ্দিন।
তখন পরিত্যক্ত অবস্থায় ২৫ টি সোনার বার উদ্ধারের ঘোষণা দেন শুল্ক কর্মকর্তারা।
এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর নগরীর পতেঙ্গা থানায় স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগে একটি মামলা করা হয়।