সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যার ঘটনায় করা অস্ত্র মামলার বাদীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হয়েছে।
Published : 27 Mar 2017, 08:26 PM
সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. শাহে নূরের আদালতে সাক্ষ্যের বাকি অংশ দেন অস্ত্র মামলার বাদী চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কামরুজ্জামান। এদিন তাকে আসামি পক্ষ জেরা করাও শেষ করেন।
এর আগে গত ১৮ জানুয়ারি আদালতে প্রথম সাক্ষ্য দেন অস্ত্র মামলার বাদি ও এই হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান।
এদিকে আসামি এহতেশামুল হক ভোলার পক্ষে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করলেও আদালত শুনানি শেষে তা নাকচ করেন। এ মামলায় আগামী ১ মে পরবর্তী শুনানির দিন রেখেছে আদালত।
সোমবার আদালতে ‘মিতু হত্যায় ব্যবহৃত’ অস্ত্র ও গুলি নিয়ে হাজির হন বাদী।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মামলার বাদ একটি রিভলবার, একটি পিস্তল ও ছয় রাউন্ড গুলি আদালতে উপস্থাপন করেন।”
গত বছরের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রামের ওআর নিজাম রোডে সন্তানের সামনে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে মিতুকে হত্যা করা হয়।
পুলিশ বলে আসছে, দুইজনের কাছ থেকে উদ্ধার করা পয়েন্ট ৩২ বোরের দেশি রিভলবার ও ৭ দশমিক ৬৫ বোরের পিস্তলটি মিতু হত্যায় ব্যবহার করা হয়েছিল।
এ ঘটনায় গত ২৮ জুলাই ভোলা ও মনিরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন অস্ত্র মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মহিম উদ্দিন।
গত বছরের ২২ নভেম্বর অস্ত্র মামলায় দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ১৮ জানুয়ারি থেকে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছিল আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফখরুদ্দিন চৌধুরী জানান, সোমবার আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বাদীকে জেরা করেন।
“জেরার জবাবে বাদী জানিয়েছেন- জিজ্ঞাসাবাদে ভোলা জানিয়েছিল মনিরের কাছে অস্ত্র রাখার কথা। পরে মনিরের বাসায় তল্লাশী চালালে সে জানায়, ভোলা তাকে অস্ত্র রাখতে দিয়েছিল।”
গত ১৮ জানুয়ারি আদালতে সাক্ষ্য দেওয়া শেষে বাদী কামরুজ্জামান বিডিনিউজকে জানান, মিতু হত্যাকাণ্ডে ওই অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল।
অস্ত্র মামলার দুই আসামির মধ্যে ভোলা হত্যা মামলারও আসামি।
শুধু অস্ত্র মামলার আসামি মনির গত ১৪ জুলাই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন, যাতে তার কাছে একটি কাপড়ভর্তি শপিং ব্যাগ রাখতে দেওয়া হয় জানিয়ে তার ভেতর অস্ত্র রয়েছে জানতেন না বলে দাবি করেন ভোলার এই ‘কর্মচারী’।
তার ভাষ্য, পরে পুলিশ ভোলাকে সঙ্গে নিয়ে তার বাসায় অভিযানে গেলে ব্যাগের ভেতর অস্ত্র থাকার কথা তিনি জানতে পারেন।