লালদীঘির ২৪ হত্যা: সাক্ষ্য দিলেন নিহত মহিউদ্দিনের ভাই

ঊনত্রিশ বছর আগে চট্টগ্রামের লালদীঘিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় যোগ দিতে এসে ‘পুলিশের গুলিতে’ মহিউদ্দিন শামীম নিহত হন বলে আদালতে সাক্ষ্যে জানিয়েছেন তার ভাই।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 March 2017, 02:58 PM
Updated : 15 March 2017, 02:58 PM

বুধবার চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ মীর রুহুল আমিনের আদালতে সাক্ষ্য দেন নিহত মহিউদ্দিন শামীমের ছোট ভাই মো. মঈন উদ্দিন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আদালতে সাক্ষী মঈন উদ্দিন বলেন, ঘটনার সময় তার বড় ভাই মহিউদ্দিন শামীম ছিলেন বিএ’র ছাত্র।

“তিনি শেখ হাসিনার জনসভায় যোগ দিতে মাকে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে চট্টগ্রাম শহরে এসেছিলেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারা খবর পান পুলিশের গুলিতে মহিউদ্দিন মারা গেছেন। রাতেই তারা আত্মীয় স্বজনসহ শহরে আসেন।”

ঘটনার পরদিন মহিউদ্দিন শামীমের লাশ তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর লাশ নিয়ে সীতাকুণ্ডের গ্রামের বাড়িতে চলে যায় তার স্বজনরা।

“আদালতে মঈন উদ্দিন বলেন, ভাইয়ের গুলিবিদ্ধ লাশ আমি দেখেছি। পারিবারিক করবস্থানে তাকে দাফন করা হয়। আমি ভাই হত্যার বিচার চাই।”

আদালত আগামী ৩০ এপ্রিল এ মামলায় পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সরকারের শেষ দিকে ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা নগরীর লালদীঘি ময়দানে এক জনসভায় যাওয়ার পথে তার গাড়িবহরে নির্বিচারে গুলি চালায় পুলিশ। এতে কমপক্ষে ২৪ জন নিহত হন।

নিহতরা হলেন- মো. হাসান মুরাদ, মহিউদ্দিন শামীম, স্বপন কুমার বিশ্বাস, এথলেবার্ট গোমেজ কিশোর, স্বপন চৌধুরী, অজিত সরকার, রমেশ বৈদ্য, বদরুল আলম, ডি কে চৌধুরী, সাজ্জাদ হোসেন, আব্দুল মান্নান, সবুজ হোসেন, কামাল হোসেন, বি কে দাশ, পঙ্কজ বৈদ্য, বাহার উদ্দিন, চান্দ মিয়া, সমর দত্ত, হাসেম মিয়া, মো. কাসেম, পলাশ দত্ত, আব্দুল কুদ্দুস, গোবিন্দ দাশ ও শাহাদাত।

এরশাদের সামরিক শাসনের অবসানের পর ১৯৯২ সালের ৫ মার্চ আইনজীবী মো. শহীদুল হুদা এ মামলা করেন।

এ মামলায় গত ২০ বছরে মোট ৪৪ জন সাক্ষ্য দিলেন। এরমধ্যে গত বছরের ২০ জানুয়ারি মামলাটি বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে আসার পর বুধবার পর্যন্ত নয়জন সাক্ষ্য দিলেন।