চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে ডাকা এক মতবিনিময় সভায় স্থানীয়দের দুই পক্ষের সংঘর্ষে মারা গেছেন একজন।
Published : 01 Feb 2017, 07:18 PM
নিহত মোহাম্মদ আলী (৩৫) বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে।
বুধবার দুপুরে উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনায় এস আলম গ্রুপের নির্মাণধীন বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকার উন্মুক্ত স্থানে ওই সভা ডাকা হয়েছিল।
তাতে সংঘর্ষে আহত আলী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যান।
কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরোধিতাকারী স্থানীয়দের সঙ্গে পুলিশ ও এস আলম গ্রুপের কর্মীদের সংঘর্ষে গত বছরের ৪ এপ্রিল চারজন নিহত হয়েছিলেন।
তারপর থেকে বেসরকারি এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তায় যৌথবাহিনী দায়িত্ব পালন করছে। যৌথবাহিনীর নেতৃত্বে থাকা নৌবাহিনীর কর্মকর্তা কমডোর এম সোহায়েল স্থানীয়দের এই মতবিনিময় সভায় ডেকেছিলেন।
উন্মুক্ত মাঠের ওই সভায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরোধিতাকারী ‘বসতভিটা রক্ষা কমিটির’ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল মোস্তফা সংগ্রামের অনুসারীরা সংঘর্ষে জড়ায় বলে পুলিশ জানায়।
বাঁশখালী থানার ওসি মো. আলমগীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বলেন, “সভার মধ্যে লিয়াকত ও সংগ্রামের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচজন আহত হয়।”
আহত পাঁচজনকে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এছাড়াও কয়েকজন জখম হন বলে স্থানীয়রা জানায়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আলী ও তার ভাই জামালকে বিকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
চমেক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাত ৯টার দিকে মোহাম্মদ আলী মারা যান। তার মাথায় গুরুতর জখম ছিল।”
আলীর ভাই জামাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিএনপি নেতা লিয়াকতের নেতৃত্বে গত বছর বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল মোস্তফা গণ্ডামারা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছিলেন।
কৃষি ও বসতভিটা হারানোর শঙ্কা থেকে ওই আন্দোলনের সূত্রপাত।
গত বছরের সংঘর্ষের পর প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিএনপি নেতা লিয়াকত ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে ওই এলাকায় ‘পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার প্রয়াসে স্থানীয় লোকজনকে ভুল বুঝিয়ে আন্দোলনে নামিয়েছিলেন’।