সাবেক সংস্কৃতি সচিব, জনপ্রিয় ক্রীড়ালেখক রণজিৎ কুমার বিশ্বাস মারা গেছেন।
Published : 23 Jun 2016, 09:09 PM
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের একটি কক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার বিকালে রণজিৎ বিশ্বাসকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন বলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিকালে সার্কিট হাউজের একটি কক্ষে একা শুয়ে ছিলেনরণজিৎ বিশ্বাস। একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তার পরিচিত লোকজন ডাকতে এলে ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না।
পরে দরজা ভেঙে রণজিৎ বিশ্বাসকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
ওই কক্ষে বমি দেখা গেছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, “চিকিৎসকরা বলেছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন।”
রণজিৎ বিশ্বাস দীর্ঘদিন ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু জানান, রণজিৎ বিশ্বাস পারিবারিক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বুধবার রাতে চট্টগ্রাম এসে সার্কিট হাউজ উঠেছিলেন।
১৯৫৬ সালের ১ মে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন রণজিৎ কুমার বিশ্বাস।
১৯৮১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তথ্য কর্মকর্তা হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন রণজিৎ। প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিবের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি।
এর আগে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০১১ সালের ১৪ মার্চ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিবের দায়িত্ব পাওয়ার পর একই বছরের ১০ অক্টোবর একই মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে পদোন্নতি পান।
২০১৩ সালের ২৫ মার্চ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব হন রণজিৎ। গত বছরের ২৭ এপ্রিল অবসরে যাওয়ার দুই দিন আগে রণজিৎ বিশ্বাস জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে পদোন্নতি পান।
গত ৩০ এপ্রিল তিনি অবসরোত্তর (পিআরএল) ছুটিতে যান।
সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন পত্রিকা ও সাময়িকীতে নিয়মিত লেখালেখি করতেন। ক্রিকেট নিয়ে তার লেখা ছিল বেশ জনপ্রিয়।
তার কয়েকটি বইও প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ‘কুড়িয়ে পাওয়া সংলাপ’, ‘মানুষ ও মুক্তিযুদ্ধের সংলাপ’, ‘শুদ্ধ বলা শুদ্ধ লেখা’, ‘হৃদয়ের ক্ষরণকথা’ উল্লেখযোগ্য।
রণজিৎ বিশ্বাসের স্ত্রী ও এক মেয়ে রয়েছে।