বাংলাদেশের তিন সাবেক অধিনায়কেরও বিশ্বাস, যে বলে ‘প্রাণ’ পেয়ে শতক করে ভারতের রোহিত শর্মা, সে বলটি ‘নো’ ছিল না। মাহমুদুল্লাহর আউট নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা।
Published : 19 Mar 2015, 08:58 PM
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ-ভারত কোয়ার্টার-ফাইনালে আম্পায়ারদের একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক ওঠে। পাকিস্তানের আলিম দার ও ইংল্যান্ডের ইয়ান গৌল্ড ছিলেন মেলবোর্নের মাঠের আম্পায়ার।
এই দুটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলাদেশের তিন সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, রকিবুল হাসান ও শফিকুল হক হীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
রোহিতের ‘প্রাণ’ পাওয়া আর মাহমুদুল্লাহর আউট নিয়ে শফিকুল হক হীরা বলেন, “ফুলটসটা অবশ্যই নো বল ছিল না। এটা আম্পায়াররা ভুল করেছে। মাহমুদুল্লাহর আউটটা থার্ড আম্পায়ারের ভালো ভাবে দেখা দরকার ছিল।”
রকিবুল হাসান বলেন, “বাংলাদেশ ম্যাচে বেশ কয়েকটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত হয়েছে। আম্পায়ারদের ভুল হয়েছে। তৃতীয় আম্পায়ার আছে, সিদ্ধান্তগুলো তারা (মাঠের আম্পায়ার) চেক করতে পারতো; থার্ড আম্পায়ারের সাহায্য চাইতে পারত তারা।”
“আমার মনে হয়েছে (মাহমুদুল্লাহর আউট) ধাওয়ানের পা দড়ি স্পর্শ করেছে। ওটা ঠিকভাবে দেখানো হয়নি”, যোগ করেন তিনি।
সময় টিভির এক অনুষ্ঠানে গাজী আশরাফ হোসেন লিপুও ‘নো বল ছিল না’ বলে মত দেন। মাহমুদুল্লাহর আউট নিয়েও সন্দেহ থাকার কথা বলেন তিনি।
“ওটা নো বল ছিল না; এটা নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই। আর রিয়াদের (মাহমুদুল্লাহ) ক্যাচ নিয়ে যে সন্দেহ ছিল, সেটা নিরসনের সুযোগ থাকলেও তারা (আম্পায়ার) তা করেনি।”
মেলবোর্নে ভারতের কাছে ১০৯ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ। পাকিস্তানের ও ইংল্যান্ডের দুই আম্পায়ারের দেয়া নো বলের সিদ্ধান্ত ভুল বলে এর আগে মন্তব্য করেন মাইকেল হোল্ডিং, অজিত আগারকার, শেন ওয়ার্ন, ভিভিএস লক্ষন ও মার্টিন ক্রো।
ভারতের ইনিংসের ৪০তম ওভারে ব্যক্তিগত ৯০ রানে রুবেল হোসেনের ফুলটস বলে ডিপ মিড উইকেটে ইমরুল কায়েসকে ক্যাচ দেন রোহিত শর্মা। কিন্তু বলটি কোমরের ওপরে ছিল উল্লেখ করে লেগ আম্পায়ার দার বোলিং প্রান্তে থাকা ইয়ান গৌল্ডকে 'নো' বলের সঙ্কেত দেন। গৌল্ড তখন 'নো' ডাকলে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যান বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।
আর বাংলাদেশের ইনিংসের সময় উইকেটে থিতু হয়ে যাওয়া মাহমুদুল্লার ক্যাচ নেন ভারতের শিখর ধাওয়ান। তবে তৃতীয় প্রচেষ্টায় বলটি মুঠোয় নিলেও ধাওয়ানের পা বাউন্ডারির দড়ি স্পর্শ করেছিল কিনা, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়।