ঘরের মাঠে ওয়ানডেতে সমীহ জাগানোর মতো দল বাংলাদেশ। টেস্টে সময়টা ভালো না গেলেও ওয়ানডেতে বরাবরের মতোই বিপজ্জনক দল নিউ জিল্যান্ড। দুই দলের সর্বশেষ সিরিজ একপেশে হলেও এবার পাওয়া যাচ্ছে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি।
Published : 28 Oct 2013, 04:24 PM
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার প্রথম ওয়ানডে শুরু হবে বেলা দেড়টায়।
দিবা-রাত্রির এই ম্যাচে রাতে শিশির পড়াটা বাংলাদেশের একাদশ নির্বাচনে ভালোই প্রভাব ফেলবে। অন্তত অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের কথায় তারই আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
“উইকেট দেখে মনে হচ্ছে, স্পিনাররা বেশ সহায়তা পাবে। শিশির ফ্যাক্টর একটা বড় ব্যাপার হতে পারে।”
তামিমের সঙ্গী তাই হতে পারেন অফস্পিন অলরাউন্ডার নাঈম ইসলাম। এর আগেও ইনিংস উদ্বোধন করেছেন তিনি।
দলে থাকলে নাঈমকে টপ অর্ডারেই খেলানোর ইঙ্গিত মুশফিকের। সহ-অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ টেস্ট খেলার সুযোগ পাননি। নাঈম ওপেন করলে তিনি তিনে ব্যাট করতে পারেন।
“তিন নম্বর খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পজিশন। এমন একজনকে দেখতে পাবেন যে কিনা ভালো খেলছে। কোনো সিনিয়র প্লেয়ার হলে সেও খেলতে পারে। টিম সিচুয়েশন কেমন হবে তার ওপরে নির্ভর করবে কে খেলবে।”
তিন পেসার না নিয়ে খেলার সম্ভবনাই বেশি বাংলাদেশের। তবে পেসাররা সহায়তা পাবেন মনে করলে অলরাউন্ডার জিয়াউর রহমানকে দেখা যেতে পারে তৃতীয় পেসার হিসেবে।
চোট কাটিয়ে দলে ফেরা মাশরাফি বিন মুর্তজার খেলা নিশ্চিত। নতুন বলে তার সঙ্গী রুবেল হোসেন।
স্লগ ওভারে বোলিং নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা রয়েছে মুশফিকের, “আমাদের চেষ্টা থাকবে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নেয়া। আঁটোসাটো বোলিং করা।”
নিউ জিল্যান্ড দলে চোট কাটিয়ে ফেরা টিম সাউদি ও অভিজ্ঞ কাইল মিলস খেলছেন মোটামুটি নিশ্চিত। তাদের সঙ্গে দেখা যেতে পারে কোরি অ্যান্ডারসন আর মিচেল ম্যাকক্লেনাগানকে।
নিউ জিল্যান্ডের ইনিংস উদ্বোধন করবেন দুই আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান হামিশ রাদারফোর্ড আর অ্যান্টন ডেভসিচ।
মিডল অর্ডারে কেন উইলিয়ামসন, রস টেইলর ও গ্রান্ট ইলিয়টের উপস্থিতি তাদের স্বভাবসুলভ খেলার সুযোগ করে দেবে বলে মনে করেন নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম।
দুই দল এ পর্যন্ত ২১ বার মুখোমুখি হয়েছে। তার মধ্যে নিউ জিল্যান্ডের জয় ১৬টিতে আর বাংলাদেশের ৫টিতে।
২০১০ সালের সর্বশেষ সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে জেতা বাংলাদেশ অতিথিদের বিপক্ষে শেষ ৭ ম্যাচের পাঁচটিতেই জিতেছে।