আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাত্র তিনবারই বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলার সুযোগ হয়েছিল ম্যাক্সওয়েলের। তার একটি ভেস্তে গেছে বৃষ্টিতে, গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। আর দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছেন দুটি ম্যাচ। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মিরপুরে করেছিলেন ৫ রান। গত বছর ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১৫ বলে ২৬।
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বেঙ্গালুরুর ওই ম্যাচেই মুখোমুখি হয়েছিলেন ম্যাক্সওয়েল ও মুস্তাফিজ। স্পেলের শেষ ওভারে শন মার্শকে আউট করেছিলেন মুস্তাফিজ। তবে ওই ওভারেই শেষ চার বল খেলেন ম্যাক্সওয়েল। মারেন দুটি ছক্কা, শেষ বলে নেন সিঙ্গেল।
“মুস্তাফিজুর ব্যতিক্রমী একজন বোলার। আইপিএলে ওর সাড়া জাগানো মৌসুমে ওর বোলিং খেলেছি আমরা। মনে হচ্ছে বাড়তি বোলিং ভারের কারণে ওর পেস কিছুটা কমে গেছে। তবে এখনও সে অসাধারণ বোলার, যার সামর্থ্য আছে সুইং করানোর। আর স্লোয়ার বলটা তো অবিশ্বাস্য।”
“সে প্রথাগত বাঁহাতি পেসার নয়। ওর কবজি বেশ নমনীয়, যে কারণে শেষ মুহূর্তে ‘ফ্লিক’ করতে পারে। বাউন্সার হোক বা স্লোয়ার বল, দেখতে হুবুহু একই মনে হয়। এটি পড়া বেশ কঠিন।”
ম্যাক্সওয়েল যখন দেখেছেন, তখনকার সঙ্গে এই মুস্তাফিজের অবশ্য একটু পার্থক্য আছে। কাঁধের অস্ত্রোপচারের পর পেসটা যেমন কমেছে, আত্মবিশ্বাসও ঠিক আগের জায়গায় যায়নি। তবে বাংলাদেশ চাইবে, ম্যাক্সওয়েলের ভাবনার মতো দুর্বোধ্য রূপেই আবির্ভূত হবেন মুস্তাফিজ।