আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানদের বেধে রাখার কৌশলটা প্রস্তুতি ম্যাচে দেখিয়ে দিলেন তিন পেসার আবু হায়দার, শুভাশীষ রায় ও আলাউদ্দিন বাবু। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে স্পিনারদের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে তার আভাস দিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
Published : 23 Sep 2016, 12:55 PM
বিসিবি একাদশে ছিলেন চার পেসার। বিশেষজ্ঞ স্পিনার কেবল বাঁহাতি সানজামুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন দুই তরুণ অফ স্পিন অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন ও মেহেদি। ওয়ানডে দলে থাকা মোসাদ্দেক অবশ্য দুই ওভারের বেশি বল করেননি।
শুক্রবার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভার ২ বলে ২৩৩ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তানের ইনিংস।
হায়দার-আলাউদ্দিন-শুভাশীষ ত্রয়ীর পেসে শুরু থেকেই রানের জন্য সংগ্রাম করতে হয় অতিথিদের। লেংথ বলে বেশ ভুগেছেন আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। অফ স্টাম্প ঘেঁষা বলেও ছিল অস্বস্তি।
অফ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি হন নওরোজ মঙ্গল ও রহমত শাহ। ঝড় তোলার আগেই বোল্ড করে মোহাম্মদ শাহজাদকে ফিরিয়ে দেন আলাউদ্দিন।
৪৭ রানে প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে হারানো অতিথিরা প্রতিরোধ গড়ে হাশমতুল্লাহ শাহিদির ব্যাটে। অধিনায়ক আসগর স্তানিকজাইয়ের সঙ্গে ৬৩ ও রশিদ খানের সঙ্গে ৪১ রানের দুটি জুটি গড়েন তিনি। দুটি জুটিই ভাঙেন প্রথম দুই ওয়ানডের দলে জায়গা না পাওয়া মেহেদি।
স্তানিকজাই (৩১) ও রশিদ (৩০) উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন সীমানায়।
শেষের দিকে স্বাগতিক বোলারদের ওপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করে আফগানিস্তান। তবে নিয়মিত আঘাত হেনে অতিথিদের ততটা সুবিধা করতে দেননি বিসিবি একাদশের বোলাররা।
শাবির নুরিকে ফিরিয়ে নিজের দ্বিতীয় উইকেট নেন শুভাশীষ। আলাউদ্দিনের বলে বোল্ড হয়ে শেষ হয় হাশমতুল্লাহর ৬৯ রানের চমৎকার ইনিংস।
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলায় ফতুল্লা খুব পরিচিত মোহাম্মদ নবির। তবে সেই মাঠে জ্বলে উঠতে পারেননি তিনি। মেহেদির বলে সীমানায় সানজামুলকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন আফগানিস্তানের সাবেক অধিনায়ক।
করিম জানাতকে ফিরিয়ে নিজের দ্বিতীয় উইকেট নেন বাঁহাতি পেসার হায়দার। দৌলত জাদরানকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে অতিথিদের ইনিংস গুটিয়ে দেন আলাউদ্দিন।
আলাউদ্দিন (৩/৩২) ও মেহেদি (৩/৪৮) তিনটি করে উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট নেন দুই পেসার হায়দার (২/২২) ও শুভাশীষ।