ইংল্যান্ডের আসা নিয়ে ক্রিকেটারদের সংগঠনের ভূমিকা চান মাশরাফি

বাংলাদেশ সফর নিয়ে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) সিদ্ধান্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে দেশটির পেশাদার ক্রিকেটারদের সংগঠন পিসিএ। তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াবের আলোচনার কোনো সুযোগ থাকলে সেই পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।

কুক-মর্গ্যানদের মাশরাফির আহবান

সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া ইংল্যান্ডের নিরাপত্তা দলে ইসিবির দুই কর্মকর্তা জন কার ও ডিকাসনের সঙ্গে ছিলেন পিসিএ -এর প্রধান নির্বাহী ডেভিড লেদারডেইলও।

ইংল্যান্ডের পেশাদার ক্রিকেটারদের সংগঠন বেশ শক্তিশালী। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সংগঠন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশকেও (কোয়াব) তাদের সাধ্য অনুযায়ী ভূমিকা রাখতে বললেন মাশরাফি।

বুধবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেন, “প্লেয়ার্স এসোসিয়েশনের প্রভাব একটা আছে। সারা বিশ্বেই এটা আছে। হয়ত আমরা এতোটা শক্তিশালীভাবে করতে পারিনি। তারপরও আমি মনে করি, যদি সুযোগ থাকে, এখান থেকে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। বড় স্বার্থের ব্যাপার, যদি সুযোগ থাকে কিছু করা উচিত।”

ইংল্যান্ডের বর্তমান দলটির অনেক খেলোয়াড়ের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ভালো যোগাযোগ রয়েছে। কেউ কেউ ঘরোয়া ক্রিকেটেও খেলে গেছেন। মাশরাফি জানান বিচ্ছিন্নভাবে তদের কেউ কেউ হয়ত বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কাছ থেকে পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইতে পারেন।

গত মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের সীমিত ওভারের ক্রিকেটের অধিনায়ক ওয়েন মর্গ্যান বলেছেন, সফরের দলে থাকা নিয়ে কাউকে জোর করা হবে না। ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ সবার থাকবে। এ নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই মাশরাফির। তবে নিরাপত্তা নিয়ে খেলোয়াড়দের তিনি বোর্ডের ওপর আস্থা রাখতে বলেছেন।

“বিভিন্ন দেশে ব্যক্তিগত টুর্নামেন্ট খেলতে অনেকে অনেক দেশে যাচ্ছে। সেই সব দেশেও কিন্তু আগে-পরে অনেক আক্রমণ হয়েছে। একজন খেলোয়াড় হিসেবে চিন্তা করতে হবে, ক্রিকেট বোর্ড যেহেতু দায়িত্ব নিচ্ছে, আমাদের বোর্ডের উপর বিশ্বাস থাকাটাই জরুরি। আমাদের ক্রিকেট বোর্ড যদি কোথাও যেতে বলে আমরা অবশ্যই যাব, আমাদের এতোটুকু বিশ্বাস তো আমাদের ক্রিকেট বোর্ডের উপর আছে।”

গত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে নিরাপত্তা শঙ্কার কথা বলে অস্ট্রেলিয়া তাদের দল প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। তবে অন্যসব দেশের মতো ইংল্যান্ড দল পাঠিয়েছিল। মাশরাফি মনে করেন, শুরু থেকেই বাংলাদেশের ক্রিকেটের পাশে থাকা ইসিবি আবারও এগিয়ে আসবে।

“আমি আশা করছি, ওরা থাকবে আমাদের সঙ্গে। এটা তো শুধু একটা খেলাই না। এর মধ্যে অনেক কিছু জড়িয়ে আছে। আমি যতটুকু জেনেছি, আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সর্বোচ্চ অবস্থায় থাকবে। প্রয়োজনে সেটা আরও বাড়ানো হবে। সেই সুযোগ আমাদের ক্রিকেট বোর্ডের আছে। বড় বড় টুর্নামেন্টে এই নিরাপত্তা আমরা দিয়ে এসেছি। আমার বিশ্বাস, বর্তমান পরিস্থিতিতেও আমরা যথেষ্ট ভালো।”