ইতালীয় নাগরিক হত্যায় চিত্র বদলেছে: বিসিবি প্রধান

সোমবার গুলশানের কূটনৈতিক এলাকায় ইতালীয় এক নাগরিককে হত্যার ঘটনায় বিসিবির জন্য পরিস্থিতি আরেকটু জটিল হয়ে উঠেছে বলে মানছেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান। তবে এটিকে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে বড় করে দেখতে নারাজ তিনি।

বাংলাদেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে দেশে ফিরে গেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা পরিদর্শক দল। বিসিবি প্রধান জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়াকে এমন নিরাপত্তার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, কোনো দেশে অতটা নিরাপত্তা কোনো দলকে আগে কখনও দেওয়া হয়নি।

তবে পরিদর্শক দল বাংলাদেশে থাকার সময়ই সোমবার গুলশানে ইতালীয় নাগরিক চেজারে তাভেল্লাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। মঙ্গলবার নিজ বাসভবনে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবি প্রধান জানালেন, এই ঘটনায় বদলেছে পরিস্থিতি।

“গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিস্থিতি ছিল একরকম। এখন আরেকরকম। গত সন্ধ্যায় এক ইতালিয়ান নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে। এরপর আওয়াজ উঠে গেছে।”

বিসিবি প্রধান অবশ্য এই ঘটনার সঙ্গে ক্রিকেট দলের নিরাপত্তা মেলাতে নারাজ।

“সন্ধ্যার পর নির্জন জায়গায় যাওয়াটা বিশ্বের যে কোনো জায়গাতেই ঝুঁকির। আমরা বিদেশ গেলেও সতর্ক থাকি। এই ঘটনার সঙ্গে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে থাকা একটি দলের তুলনা হয় না। শুধু বিসিবি নয়, পুরো সরকার নিরাপত্তা দেবে ওদের। তারপও ভয়ের কারণ দেখি না।”

নাজমুল হাসানের দাবি, নিরাপত্তার হুমকি কম-বেশি সব দেশেই আছে।

“হুমকি সবদেশেই আছে। আমেরিকাতে নাই? আমেরিকাতে আরও বেশি আছে। বিভিন্ন ইউরোপিয়ান দেশে আছে। যে কোনো জায়গায় হতে পারে। আমাদের দেখতে হবে, কোন কোন দেশ কি ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং কতটা প্রস্তুত। একটা ঘটনা ঘটলে কতটা সামলাতে পারবে। বাংলাদেশে গত ১০ বছরে, খেলাধূলা ছাড়াও, সব মিলিয়েই কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দেখিনি।”

তবে বিদেশি নাগরিক হত্যার ঘটনা যে সময়টায় ঘটল, এটিকে নিজেদের দূর্ভাগ্য মানছেন বিসিবি প্রধান।

“আমাদের দেশে বিদেশিদের নিয়ে এমন ঘটনা কখনোই হয় না। খুবই বিরল। সেখানে অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা দলটি এখানে থাকার সময়ই ঘটনাটি ঘটল। এরপর যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রও অ্যালার্ট দিল। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় তো পরিস্থিতি আরও খারাপ ছিল। কিন্তু আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে সব দল এসেছে। এবারও না আসার কারণ নেই।”