ডেভিড ওয়ার্নারের দৃঢ়তায় ভালো শুরুর পর হঠাৎ ছন্দ পতনে দিক হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু শেষ দিকে ম্যাথু ওয়েডের দারুণ ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ডকে প্রথম ওয়ানডেতে বড় লক্ষ্যই দেয় বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। সে লক্ষ্যে শুরুটা ভালো করলেও শেষ পর্যন্ত হার এড়াতে পারেনি ওয়েন মর্গ্যানের দল।
Published : 03 Sep 2015, 10:42 PM
৫৯ রানে জিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া।
বৃহস্পতিবার সাউথ্যাম্পটনের দ্য রোজ বৌলে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ৩০৫ রান করে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ৪৫.৩ ওভারে ২৪৬ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আলেক্স হেলসের (২২) সঙ্গে জ্যাসন রয়ের ৭০ রানের উদ্বোধনী জুটি ইংল্যান্ডকে ভালো সূচনা এনে দেয়। জেমস টেইলরের সঙ্গে ৪২ রানের আরেকটি ভালো জুটি গড়ে দলকে কক্ষপথেই রাখেন জ্যাসন।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন জ্যাসন। তার ৬৪ বলের ইনিংসটি ১১টি চারে গড়া।
অধিনায়ক মর্গ্যানের সঙ্গে ৪০ রানের জুটিতে দলকে ২ উইকেটে ১৫২ রানের দৃঢ় অবস্থানে নিয়ে যান টেইলর (৪৯)। শেন ওয়াটসনের বলে তিনি বোল্ড হলে ছন্দ হারায় ইংল্যান্ড। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো স্বাগতিকরা আড়াইশ’ রানও করতে পারেনি।
ওয়াটসনের বলে ওয়েডের গ্লাভসবন্দি হয়ে মর্গ্যানের (৩৮) বিদায়ে বড় একটা ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। দুই অঙ্কেই যেতে পারেননি জস বাটলার (৪) ও ক্রিস ওকস (শূন্য)। থিতু হলেও নিজেদের ইনিংস বড় করতে পারেননি বেন স্টোকস (১৩), মইন আলি (১৭) ও আদিল রশিদ (১১)।
অস্ট্রেলিয়ার ওয়াটসন, নাথান কোল্টার-নাইল, প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্ক দুটি করে উইকেট নেন।
অর্ধশতকে পৌঁছানো ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠা জুটি ভাঙেন রশিদ। এই লেগ স্পিনারের বলে ওকসের তালুবন্দি হওয়ার আগে ৫৯ রান করেন ওয়ার্নার। তার ৬৭ বলের ইনিংসটি গড়া ৬টি চারে।
এক সময়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ১৩৩ রান। সেখান থেকে ৬০ রান যোগ করতে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে দলটি। এই সময়ে ফিরে যান ওয়ার্নার, স্মিথ (৪৪), জর্জ বেইলি (২৩), ম্যাক্সওয়েল (১৫) ও ওয়াটসন (৬)।
১৯৩ রানে প্রথম ব্যাটসম্যানকে হারানো অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ তিনশ’ পার হয় ওয়েড ও মিচেল মার্শের দৃঢ়তায়। অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেটে ১৩ ওভারে ১১২ রানের জুটি গড়েন এই দুই জনে।
৭১ রানে অপরাজিত থাকেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ওয়েড। তার ৫০ বলের আক্রমণাত্মক ইনিংসটি ১২টি চার সমৃদ্ধ। ৩৪ বলে অপরাজিত ৪০ রানের ভালো একটি ইনিংস খেলেন মার্শ।
৫৯ রানে চার উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের সেরা বোলার রশিদ।