সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে বহিরাগত এক যুবক নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন প্রক্টরসহ অন্তত ২০ জন।
Published : 20 Nov 2014, 11:05 AM
শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান হকের সমর্থক নেতাকর্মীরা বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি ও অ্যাকাডেমিক ভবন এবং শাহপরাণ হলে ভাংচুর চালায়।
এক পর্যায়ে শাহপরাণ, বঙ্গবন্ধু ও সৈয়দ মুজতবা আলী হলের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি অঞ্জন রায় ও মিসবাহ রেদওয়ানের সমর্থকদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ সময় দুই পক্ষই পরস্পরের দিকে গুলি ছোড়ে এবং বোমাবাজি করে বলে ক্যাম্পাসে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানান। দুই পক্ষেরই বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন।
নিহত সুমন সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র। তবে তার বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ওমর ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সুমনকে হাসপাতালে আনা হলে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।"
জালালাবাদ থানার ওসি আক্তার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সংঘর্ষ শুরুর পর ক্যাম্পাসে বাড়তি পুলিশ আনা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আমিনুল হক ভূইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা দুই পক্ষকেই শান্ত করার চেষ্টা করছি।”