বেতন কাঠামোয় ‘অসঙ্গতি’ নিরসনের দাবিতে বাংলাদেশের অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষকদের লাগাতার কর্মবিরতি চলছে।
Published : 11 Jan 2016, 12:16 PM
অনির্দিষ্টকালের এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ক্লাসের পাশাপাশি শিক্ষকরা কোন পরীক্ষা না নেওয়ায় সোমবার সকাল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালগুলোর শিক্ষকদের মোর্চা ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের’ ডাকে বছরের শুরু থেকেই দাবি আদায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে শিক্ষকরা। এরই অংশ হিসেবে সারা দেশের ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলছে।
এর আগে নিজেদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত ৩ জানুয়ারি থেকেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মবিরতি শুরু করে শিক্ষকরা। এতদিন পূ্র্বনির্ধারিত পরীক্ষাগুলো নেওয়া হলেও কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী এখন ক্লাসের পাশাপাশি কোন পরীক্ষাও নেওয়া হবে না বলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খসরুল আলম কুদ্দুসী জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, বেতন কাঠামোয় বৈষম্য নিরসণের দাবিতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ঘোষণা অনুযায়ী কর্মবিরতি পালন করছি আমরা।
“এর আগে পূর্বনির্ধারিত পরীক্ষাগুলোকে আমরা কর্মবিরতির আওতামুক্ত রাখলেও আজ থেকে কোন পরীক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রমেও শিক্ষকরা অংশ নিচ্ছেন না।”
প্রায় নয় মাস আগে অষ্টম বেতন কাঠামোর প্রস্তাব আসার পর গ্রেডে মর্যাদার অবনমন এবং টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিলের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলন শুরু হয়েছিল। এরপর সরকার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের দাবি পর্যালোচনায় কমিটি করে। কমিটির সভাপতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গত ৬ ডিসেম্বর শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে তিনটি দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও ১০ দিন পর বেতন কাঠামোর গেজেটে তার প্রতিফলন ঘটেনি বলে শিক্ষকদের অভিযোগ। পরে ২ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দেন শিক্ষকরা।