এতদিন লোকসানের কারণ হিসেবে পুরানো উড়োহাজকে দায়ী করা হলেও বহরে যুক্ত আধুনিক উড়োজাহাজও লাভের মুখ দেখাতে পারেনি রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমানকে।
Published : 10 Aug 2014, 08:39 PM
গত অর্থবছরের প্রাথমিক হিসাবে বিমানের লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫৪ কোটি টাকা। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৬১ কোটি টাকা বা ৩২ শতাংশ বেশি।
২০১২-১৩ অর্থবছরে লোকসানের পরিমাণ ছিল ১৯৩ কোটি টাকা।
রোববার বিকালে বিমান পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে বৈঠকের পর বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।
লোকসানের কারণ হিসেবে জ্বালানিকে দায়ী করে মন্ত্রী বলেন, “বিমানের মোট ব্যয়ের ৪৭ শতাংশই চলে যায় ফুয়েল বা জ্বালানিতে। ভ্যাটের কারণে ফুয়েল প্রাইস আমাদের এখানে অনেক বেশি ফুয়েল প্রাইস বেশি পড়ে যায়।
“আরেকটি কারণ হলো পুরোনো উড়োজাহাজ। এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ এবং জ্বালানি বাবদ প্রচুর খরচ হতো।”
বিমানকে লাভজনক করার লক্ষ্যে গত বছরের মার্চে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের সাবেক কর্মকর্তা কেভিন স্টিলকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি দায়িত্ব নেয়ার পরেই দুই বছরের মধ্যে বিমানকে লাভজনক করার প্রতিশ্রুতি দেন।
এক বছরের মাথায় বিমানকে লোকসানের পুরোনো ধারায় রেখে তিনি পদত্যাগ করেন।
বিমানের হিসাব শাথার তথ্য অনুসারে বহরে নতুন প্রজন্মের ছয়টি বোয়িং ৭৭৭ যুক্ত হওয়ার পর বিমানের যাত্রী পরিবহনক্ষমতা কমেছে প্রায় ১৯ শতাংশ।
১৯৯৫-৯৬ সাল থেকে গত ১৮ বছরে বিমান লাভের মুখ দেখেছে মাত্র চার বছর। এর মধ্যে ২০০৩-০৪ অর্থ বছরে বিমানের লাভ ছিলো ৩৪ কোটি ৫ লাখ, ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ৫ কোটি ৯১ লাখ এবং ২০০৮-০৯ সালে ১৫ কোটি ৫৭ লাখ।
বিমানমন্ত্রী মেনন বলেন, “এ বছর থেকে বিমানে পুরানো উড়োজাহাজ থাকছে না। বিমানকে ডিজিটালাইজড করার প্রক্রিয়া চলছে, এগুলো হয়ে গেলেই আমরা আশা করি বিমান দাঁড়িয়ে যাবে।”