প্লেসমেন্টের নামে পাঁচ বছর আগে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বিএসইসির করা মামলায় আসামি সাত্তারুজ্জামান শামীমকে খালাস দিয়েছে আদালত।
Published : 27 Oct 2015, 02:51 PM
পুঁজিবাজার সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তিতে গঠিত ট্রাইব্যুনালের বিচারক হুমায়ুন কবীর মঙ্গলবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
এ মামলার দুই আসামির মধ্যে গ্রিন বাংলা কমিউনিকেশনস কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নবীউল্লাহ নবী ২০১৩ সালে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান। তার সহযোগী হিসেবে সাত্তারুজ্জামান শামীমকে এ মামলায় আসামি করা হয়।
রায়ে বিচারক বলেন, “শামীমের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণে বাদীপক্ষ ব্যর্থ হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হল।”
আসামি শামীম ও তার আইনজীবী এ এস এম আমিনুল হক এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাদীপক্ষে ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) আইনজীবী মাসুদ রানা।
এর আগে ২৫ অক্টোবর আসামিপক্ষের আইনজীবীর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন। বিএসইসির পক্ষে ১২ জনের জবানবন্দি শুনে আদালত এ মামলার রায় ঘোষণা করে।
যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় আসামির আইনজীবী আদালতে বলেন, তার মক্কেল নবীউল্লাহ নবীর কাছ থেকে বকেয়া টাকা আদায় করতে গিয়ে মামলায় জড়িয়ে পড়েন।
“আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নবীউল্লাহর অফিস ঘেরাও করার সময় সাত্তারুজ্জামান সেখানে উপস্থিত থাকায় তাকেও আসামি করা হয়।”
২০১০ সালে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে শেয়ার বরাদ্দ দেওয়ার নামে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পায় বিএসইসি। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেই নবীউল্লাহ ও শামীমকে শনাক্ত করে র্যাব।
এরপর বিএসইসির উপ-পরিচালক এ এস এম মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে এই দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
চলতি বছর জানুয়ারিতে এ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হওয়ার পর এই প্রথম কোনো মামলায় আসামি বেকসুর খালাস পেলেন। এর আগে ট্রাইব্যুনালে আসা তিনটি রায়েই আসামিদের সাজা হয়েছে।
ফেইসবুকে শেয়ারের আগাম ও মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে মাহবুব সরোয়ার নামে এক বিনিয়োগকারীকে গত ৩ অগাস্ট দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
১৭ আগস্ট বিডি ওয়েল্ডিংয়ের শেয়ার কারসাজির দায়ে দুইজনকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
আর ১৯৯৬ সালে চিকটেক্সের শেয়ার কারসাজির দায়ে ৩১ আগস্ট কোম্পানির দুই পরিচালককে চার বছরের কারাদণ্ড ও ৩০ লাখ টাকা করে জরিমানা করে ট্রাইব্যুনাল।