চট্টগ্রামে বিলবোর্ড উচ্ছেদের মধ্যে যুবলীগ নেতার অস্ত্র প্রদর্শন

চট্টগ্রাম নগরীতে অবৈধ বিলবোর্ড উচ্ছেদে সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের মধ্যে যুবলীগের দুই নেতার মধ্যে তর্কাতর্কির মধ্যে একজন অন্যজনকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 June 2015, 03:39 PM
Updated : 28 June 2015, 03:39 PM

যুবলীগের নগর কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন কমিটির সদস্য মো. আলী।

মো. আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভ্রাম্যমাণ আদালত চলে যাওয়ার পর ফরিদ মাহমুদ আমাকে অস্ত্র উঁচিয়ে হুমকি দেন।”

তবে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে ফরিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার উপর হামলা হতে পারে ভেবে আমার লাইসেন্স করা অস্ত্রটি পকেট থেকে বের করে হাতে রেখেছিলাম।”

চট্টগ্রাম নগরীর অধিকাংশ বিলেবোর্ড মালিকদের অধিকাংশ যুব ও ছাত্রলীগের নগর নেতা। এই বিলবোর্ডগুলোর বেশিরভাগই অবৈধ বলে তা উচ্ছেদে অভিযান চালাচ্ছে সিটি করপোরেশন।     

রোববার নগরীর টাইগারপাস এলাকায় বিলবোর্ড উচ্ছেদে যায় সিসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিয়া শিরিন নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখানে যুবলীগের দুই নেতার তর্কাতর্কি হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।

বেলা ১১টা থেকে অভিযান শুরুর পর দেড়টার দিকে মো. আলী ২০ থেকে ২৫ জন সঙ্গী নিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দেন। তারা পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিতেও জড়ান বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।

মো. আলী বলেন, “টাইগারপাস এলাকায় রেলওয়ের জায়গায় আমার বিলবোর্ডগুলো রেলওয়ের অনুমোদনপ্রাপ্ত। বৈধ কাগজপত্রসহ রেলওয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত লোক নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গেলে তিনি বিলবোর্ড কাটা বন্ধ করে দেন।

“আমি ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার ঘণ্টাদুয়েক পর অন্য কারও নির্দেশে আমার বিলবোর্ডগুলো কাটা শুরু করে ম্যাজিস্ট্রেট। প্রতিবাদে আমরা রাস্তায় অবস্থান নিই।”

রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে শুধু তার বিলবোর্ডগুলোই উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে দাবি করেন যুবলীগের এই নেতা।

ফরিদ মাহমুদ বলেন, “যথাযথ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও আমার বেশ কিছু বিলবোর্ড উচ্ছেদ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে কাগজপত্র দেখালে তারা আমার বিলবোর্ডগুলো কাটা থেকে বিরত থাকে।

“কিন্তু মো. আলী সিসিসির ক্রেন অপারেটরকে আমার বিলবোর্ডগুলো কাটার জন্য চাপ দিতে থাকে।”

যুবলীগ নেতাদের অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের বিষয়ে জানতে সিসিসির ম্যাজিস্ট্রেট নাজিয়া শিরিনের মোবাইলে কয়েকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. জাফর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, টাইগারপাস মোড় থেকে পলোগ্রাউন্ডমুখী সড়কে পাঁচটি ও টাইগারপাস থেকে দেওয়ানহাট মোড় পর্যন্ত আরও দুটি বিলবোর্ড উচ্ছেদ করা হয়েছে। পাশাপাশি উভয় সড়ক থেকে মোট ৫০টি মিনিপোলও উচ্ছেদ করা হয়।