সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ৬ জুলাই দিন রেখেছে আদালত।
Published : 21 Jun 2015, 01:38 PM
রোববার সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মনির আহমদ পাঠওয়ারী হবিগঞ্জের বিএনপি নেতা ও বরখাস্ত হওয়া পৌর মেয়র জি কে গউছসহ ২০ জন আসামির উপস্থিতিতে এই তারিখ ঠিক করে দেন।
সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর জানান, এ মামলার অন্যতম আসামি সিলেটের বরখাস্ত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে অসুস্থতার কারণের এদিন আদালতে হাজির করা হয়নি। অন্য একটি মামলায় হাজিরার দিন থাকায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকেও সিলেটে আনা হয়নি।
এর আগেও দুইবার মামলাটি সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের হাতে এলেও বাদীপক্ষের নারাজিতে তা বিচার পর্যন্ত যায়নি। আইনে বেঁধে দেওয়া ১৩৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি না হওয়ায় মামলাটি হবিগঞ্জের আদালতে ফিরে যায়।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ পাঁচজন নিহত হন। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় অর্থমন্ত্রী ছিলেন কিবরিয়া।
হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান ওই রাতেই হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।
তিন দফা তদন্তের পর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিলেট অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুন নেছা পারুল ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর আরিফুল, গউছ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১১ জনের নাম যোগ করে মোট ৩৫ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন।
এরপর আরিফুল ও গউছ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক তা নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠান। সরকার তাদের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে।
হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাবুল্লাহ মামলাটি বিচারের জন্য গত ১১ জুন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেন।
অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার জানান, এ মামলার ৩২ আসামির মধ্যে ৮ জন জামিনে আছেন। আর ১৪ জন রয়েছেন কারাগারে। পলাতক আছেন ১০ জন।
এদের মধ্যে জামিনে থাকা ৮ জন এবং কারাগারে থাকা ১২ জন রোববার আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরিফুল হকের আইনজীবী মোহাম্মদ লালা জানান, আগামী ৬ জুলাই অভিযোগ গঠনের শুনানির আগে তারা এ মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করবেন।