নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটির করা নারাজি আবেদনের বিষয়ে আদালত আগামী ৮ জুলাই আদেশ দেবে।
Published : 08 Jun 2015, 03:54 PM
সোমবার নারাজি আবেদনের শুনানি নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এইচ এম শফিকুল ইসলাম আদেশের দিন ঠিক করে দেন।
এর আগে আদালতে এই হত্যাকাণ্ডের অন্য মামলার বাদী নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল অভিযোগপত্রে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
মামলার আসামি র্যাবের সাবেক কর্মকর্তা তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, আরিফ হোসেন ও এমএম রানাসহ ৩২ জনকে আদালতে হাজির করা হয়।
এজাহারে থাকা কয়েকজনের নাম অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়ায় এবং কয়েকজনের নাম না আসায় গত ১১ মে নারাজি আবেদন করেন সেলিনা।
বাদীর আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তার অভিযোগপত্রে এজাহারভুক্ত সাতজন আসামির মধ্যে থেকে শুধু নূর হোসেনকে আসামি করেছেন।
“বাকি ৬ আসামিকে আটক বা জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় তদন্তে গুরুতর অনিয়ম হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন। আমরা ন্যায় বিচারের স্বার্থে মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য আবেদন জানিয়েছি।”
নিহত নজরুলের স্ত্রী সেলিনা বলেন, “যারা এই হত্যাকাণ্ডের অর্থায়ন ও পরিকল্পনাকারী, তাদেরকে অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।”
তবে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউর কে এম ফজলুর রহমান জানান, মামলার তদন্তে ও আটক আসামিদের জবানবন্দিতে যাদের নাম এসেছে তদন্ত কর্মকর্তা তাদের সবাইকে আসামি করেছেন।
গত ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোডের ফতুল্লার লামাপাড়া থেকে কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় নিহত নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল দুটি মামলা করেন।
গত ৮ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মামুনুর রশিদ মণ্ডল দুই কাউন্সিলর নূর হোসেন ও র্যাবের তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। মামলার এজাহারে আসা ১৬ জনের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন করেন তিনি।
আসামিদের মধ্যে ২২ জন গ্রেপ্তার এবং র্যাবের ৮ সদস্যসহ ১৩ জনকে পলাতক দেখানো হয় অভিযোগপত্রে।
মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আটকের পর সেখানেই কারাগারে আটক রয়েছেন। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের একটি মামলায় সাজা হওয়ায় কাউন্সিলর পদ খুইয়েছেন তিনি।