ভারতে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির টানাপোড়েনের কারণে অনিশ্চয়তা দেখা দিলেও শেষ মুহূর্তে মমতা তার দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ঢাকা আসছেন বলে গত বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
শনিবার মমতা নিজেই তার ঢাকা সফরের কথা কলকাতায় সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন বলে পিটিআই জানিয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বলেন, “আমি ৫ জুন বাংলাদেশে যাব এবং সীমান্ত চুক্তি সইয়ের পর ৬ জুনই ফিরে আসব।”
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফর করবেন ৬-৭ জুন। দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত স্থল সীমান্ত চুক্তি ও প্রটোকল কার্যকরে সব বাধা দূর হওয়ার পরই ঢাকা আসছেন তিনি।
চার বছর আগে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সফরসঙ্গীর তালিকা থেকে শেষ মুহূর্তে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন মমতা।
সব প্রস্তুতি থাকার পরও তার আপত্তির কারণে তখন আটকে যায় তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে দুই দেশের চুক্তি সই, যা এখনও হয়নি।
সাবেক কংগ্রেস নেত্রী মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেস এক সময়ে বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধলেও এখন তাদের সম্পর্ক অনেকটাই সাপে-নেউলে। বিজেপি নেতা মোদীর কঠোর সমালোচক তিনি।
এসব মিলিয়ে মমতা ঢাকা সফরে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আসছেন না বলে ভারতের গণমাধ্যমে কয়েকদিন আগেই খবর প্রকাশ হয়েছিল।
তবে শেষ পর্যন্ত মমতা রাজি হলেও স্পষ্ট করলেন, মোদীর সঙ্গে ঢাকা আসছেন না তিনি।
২০১১ সালে মনমোহনের সফর এড়িয়ে গেলেও এই বছরই বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তখন বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণে ভূমিকা রাখবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান তিনি।
তিস্তা চুক্তির জট খোলার আশা ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হলেও এ বিষয়ে মমতার স্পষ্ট বক্তব্য এখনও আসেনি।