পাঁচ বছর পর বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সম্মেলন।
Published : 28 May 2015, 02:52 AM
তবে নতুন নেতৃত্ব কাউন্সিলে কর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে নয়, এই শাখার সাবেক নেতাদের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করবেন ছাত্র সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারা।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম বুধবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কেন্দ্রীয় সম্মেলনে নেতৃত্ব বাছাই নির্বাচনের মাধ্যমে হলেও ঢাকা মহানগরের উত্তর ও দক্ষিণে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে।”
পাঁচ বছর আগে ২০১০ সালের ২৭ জুলাই ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগরের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির মেয়াদ দুই বছর হলেও নির্ধারিত সময়ের তিন বছর পর এবার সম্মেলন হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার মহানগর উত্তরের সম্মেলনের দুই দিন পর ৩০ মে মহানগর দক্ষিণ শাখার সম্মেলন হবে বলে ছাত্রলীগ নেতারা জানিয়েছেন।
আগামী ২৫-২৬ জুলাই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন সামনে রেখে মহানগরের সম্মেলন হচ্ছে।
মহানগর উত্তর কমিটির নেতৃত্ব বাছাইয়ে কোন কোন বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হবে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ছাত্রলীগের যোগ্য নেতা হতে হলে প্রথমে নিয়মিত ছাত্র হতে হবে।
“আবার যারা দলের দুঃসময়ে পাশে ছিলেন তাদের থেকে যোগ্য, দক্ষ এবং ত্যাগী প্রার্থীই মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের আগামীর নেতৃত্বে আসবেন।”
সুমন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মহানগর উত্তরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে সব মিলিয়ে ৮৩ জন প্রার্থী আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে সভাপতি পদে ৪০ জন, আর সাধারণ সম্পাদক পদে ৪৩ জন আবেদন জমা দিয়েছেন।
এ বছর মহানগরের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের সবাইকে একটি করে ফরম পূরণ করতে হয়েছে। প্রতিটি ফরমের মূল্য রাখা হয় তিন হাজার টাকা।
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি ইসমাইল হোসেন তপু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ রানা, আসিফ উল্লাহ মিথুন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মিজানুর রহমান, ফুয়াদ ফয়সাল, এ হান্নান হাওলাদার শাওন ও অর্থ সম্পাদক রহমতুল্লাহ সরকার লিখন রয়েছেন।
এছাড়া অন্যদের মধ্যে ধানমণ্ডি থানা ছাত্রলীগের সভাপতি সুজাউদ্দীন তুহিন, কলাবাগান থানা সভাপতি মেহেদী হাসান ফারুক, ধানমন্ডি থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এস আশফাক, নিউ মার্কেট থানা সভাপতি গোলাম শহীদুল রানা ও টিচার্স ট্রেইনিং কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিন সবুজ।
হাজারীবাগ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আরজু মিয়া, আদাবর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ মাহমুদ, মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মুন্না, গুলশান থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী জাহিদুল ইসলাম রিয়াজ আবেদনপত্র কিনেছেন।