মানবতাবিরোধী অপরাধে গ্রেপ্তার শামসুদ্দোহার মৃত্যু

মুক্তিযুদ্ধের সময় কক্সবাজারে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার মো. শামসুদ্দোহা চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা গেছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 May 2015, 12:30 PM
Updated : 27 May 2015, 12:39 PM

তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোজাম্মেল হক বলেন, “গত রাতে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তিনি বার্ধক্যজনিতসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভুগছিলেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।”

মো. শামসুদ্দোহা বড় মহেশখালীর বড়ডেইল এলাকার মৃত রওশন আলীর ছেলে।

২৪ মে সকালে একই গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মহেশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দিদারুল ফেরদৌস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের সময় বড় মহেশখালীর দেবাঙ্কপাড়ার নুরুল আমিনের পরিবারের চার জনকে হত্যা, তাদের বাড়ি পোড়ানো এবং লুটপাটের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।”

এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, গত বৃহস্পতিবার প্রসিকিউশনের আবেদনে সাড়া দিয়ে বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার ১৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

আদেশের পরে থেকে পরদিন শুক্রবার পর্যন্ত মহেশখালীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পরোয়ানাভুক্ত চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এরা হলেন- ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ নলবিলা গ্রামের মৌলভী নুরুল ইসলাম, মহেশখালী পৌরসভার গোরকঘাটা এলাকার মৌলভী ওসমান গনি, মহুরী ডেইল এলাকার মো. জিন্নাত আলী ও হোয়ানক ইউনিয়নের হরিয়াছড়া এলাকার বাদশা মিয়া মেম্বার।

এছাড়া গত ১ মার্চ একই ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধে মহেশখালীর তিন জনকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করে। পরদিন মহেশখালী থানা পুলিশ ছালামত উল্লাহ খান ও মো. রশিদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করলে ট্রাইব্যুনাল তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

ওই সময় পরোয়ানা জারি হওয়া অপর আসামি মৌলভী জাকারিয়া এখনো পলাতক রয়েছেন।