সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করায় হবিগঞ্জের এক ভবন মালিককে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আপিল বিভাগ।
Published : 04 May 2015, 06:33 PM
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়।
মো. আব্দুস শহীদ নামের ওই ব্যক্তি হবিগঞ্জ শহরের রামকৃষ্ণ মিশন রোডের একটি ভবনের মালিক।
আদালতের তথ্য অনুযায়ী, শ্যামল কান্তি দাস নামের এক ব্যক্তি কয়েক বছর আগে সীমানা ‘দখল’ করে ভবন নির্মাণের অভিযোগে শহীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর হবিগঞ্জের প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ওই জমিতে ভবন নির্মাণের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।
এর বিরুদ্ধে শহীদ উচ্চ আদালতে এলে হাই কোর্ট বিচারিক আদালতের আদেশ স্থগিত করে।
হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে শ্যামল কান্তি আপিল বিভাগে আবেদন করলে ২০১৩ সালের ২৭ অগাস্ট ওই ভবন নির্মাণে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ হয়।
ওই আদেশ না মেনে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখায় বাদীপক্ষ শহীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনে। এরপর আদালত অনুমোদনহীন ভবন অপসারণের জন্য পৌরসভাকে নির্দেশ দেয়।
ওই নির্দেশ না মানায় পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র, সাবেক ও বর্তমান সচিব ও নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি হয়। তাদের সঙ্গে আব্দুস শহীদকেও তলব করে আদালত।
সেই রুলের শুনানির জন্য সোমবার আদালতে হাজির হন শহীদ ও অন্যরা।
আদালতে আবেদনকারী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী ও জগলুল হায়দার আফ্রিক। পৌরসভার পক্ষে ছিলেন এ কে এম ফয়েজ। ভবন মালিক শহীদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন।
আদেশের পর সুব্রত চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভবন মালিক শহীদের বাধার কারণে বার বার সময় নিয়েও পৌরসভা ওই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে পারেনি বলে জানিয়েছে। আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় আপিল বিভাগ শহীদকে কারাদণ্ড দিয়েছে। রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
আপিল বিভাগ এক মাসের মধ্যে ওই অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করতে পৌরসভাকে নির্দেশ দিয়েছে বলে জানান সুব্রত।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার সৈয়দ আমিনুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আদালত শহীদকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশ অনুসারে শাহবাগ পুলিশের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”