স্বাধীনতা জাদুঘরের দ্বার উন্মুক্ত

ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ ও স্বাধীনতা জাদুঘরের দ্বার সবার জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 March 2015, 07:23 AM
Updated : 27 March 2015, 07:24 AM

এই জাদুঘরে ১৪৪টি প্যানেলে বাঙালি ও বাংলাদেশি জাতিসত্তার স্বাধীনতার ইতিহাস উপস্থাপন করা হয়েছে আলোকচিত্রের মাধ্যমে।

মুঘল আমল থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত সময়ের ছবি ছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের ছবি রয়েছে এই জাদুঘরে।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ এবং ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের বিশাল আকৃতির দুটি ছবিও রয়েছে।

যে টেবিলের ওপর পাকিস্তানি বাহিনীর কমান্ডার লে. জেনারেল আমীর আবদুল্লাহ খান নিয়াজী আত্মসমর্পণের দলিলে সই করেছিলেন তার একটি রেপ্লিকাও রয়েছে স্বাধীনতা জাদুঘরে। আছে বিদেশি পত্রিকায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের অনুলিপি।

ভূ-গর্ভে এই জাদুঘরের মাঝে রয়েছে একটি ফোয়ারা, যা নেমে এসেছে উপরিভাগ থেকে।

বাংলদেশের স্বাধীনতার ৪৪তম বার্ষিকীতে বৃহস্পতিবার এই জাদুঘর খুলে দেওয়া হয়।

কর্মকর্তারা জানান, স্বাধীনতা জাদুঘর খোলা থাকবে জাতীয় জাদুঘরের সময়সূচি অনুযায়ী; প্রতি শনিবার থেকে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকালে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এবং শুক্রবার বিকেলে ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার ও সরকারি ছুটির দিন এটি বন্ধ থাকবে।

‘স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্প’র আওতায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণলয়ের তত্ত্বাবধানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। স্তম্ভটি ১৫০ ফুট দীর্ঘ একটি গ্লাস টাওয়ার।

স্বাধীনতা জাদুঘর সজ্জিত করার কাজ করেছে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর। এই জাদুঘরের উপরিভাগে রয়েছে ১৫৫ আসনের একটি মিলনায়তন।