মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার চলতি বছরের মধ্যে প্রায় দেড় লাখ শ্রমিক নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
Published : 02 Mar 2015, 06:50 PM
কাতার সফর শেষে সোমবার ইস্কাটনের প্রবাসী কল্যাণ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এই আশাবাদ প্রকাশ করেন।
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, “এ সব শ্রমিক যেন শূন্য অভিবাসন ব্যয়ে যেতে পারে, এ বিষয়ে কাতার সরকারের সঙ্গে কথা হয়েছে।”
বাংলাদেশ থেকে ৫০ হাজার শ্রমিক নেওয়ার কথা কাতার ইতোমধ্যে জানিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে শ্রমিক পাঠানো শুরু হবে।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল কাতার সফর করেন। চার দিনের এ সফরে কাতারের শ্রম ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী আব্দুল্লাহ সালেহ মুবারাক আল খুলাইফির সঙ্গে বৈঠক হয় তাদের।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতার জন্য বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি সংখ্যক শ্রমিক নিতে আগ্রহ দেখিয়েছেন কাতারের মন্ত্রী।
“কাতার সব সময় বাংলাদেশি শ্রমিকদের কাছে জনপ্রিয় হলেও এতদিন আমরা অগ্রাধিকার পাচ্ছিলাম না। কাতারের অগ্রাধিকারের তালিকায় ছিল ভারত, নেপাল এবং ফিলিপাইন। তবে তারা আমাদের কথা দিয়েছে বিশ্বকাপ উপলক্ষে তারা বাংলাদেশ থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শ্রমিক নেবে।”
বিদেশে জনশক্তি পাঠানোর জন্য জনশক্তি রপ্তানি ও প্রশিক্ষন ব্যুরোর যে ডেটাবেইস রয়েছে, সেখান থেকেই কাতারে শ্রমিক পাঠানো হবে বলে জানান মন্ত্রী।
“আমরা মধ্যস্বত্বভোগী বা দালালদের একেবারেই নিশ্চিহ্ন করে দিতে চাই। আর এ কারণে সরকারি যে ডেটাবেইস রয়েছে, এর বাইরে কোনো শ্রমিক পাঠানো হবে না। কেউ যেন দালালের মাধ্যমে বিদেশ যেতে চেষ্টা না করে।”
তিনি বলেন, এ পদ্ধতিতে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানই শ্রমিকদের সব খরচ বহন করবে।
“আগে বিদেশ যেতে হলে একজনকে যে তিন/চার লাখ টাকা খরচ করতে হত, এখন আর সেটি লাগবে না। শূন্য অভিবাসন ব্যয়েই তারা যেতে পারবেন।”
কাতার থেকে যখন চাহিদাপত্র আসবে তখন ডেটাবেইস থেকে লটারি করে চাহিদার তিন গুণকে বাছাই করা হবে। এরপর নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান তাদের সাক্ষাৎকার নিয়ে চূড়ান্ত বাছাইয়ের কাজটি করবেন।
মধ্য প্রাচ্যের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৫০১ জন পাঠানো হয়েছে। ২০১৪ সালে জনশক্তি রপ্তানি করে দেশটি থেকে রেমিটেন্স এসেছে প্রায় ২৮৪.২৯ মিলিয়ন ডলার।