মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে থাকা রাষ্ট্রপতিদের অবসরভাতার বিষয়ে আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন সংসদ কার্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
Published : 18 Feb 2015, 09:17 PM
পাশাপাশি অবৈধ পন্থায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলকারীরা অবসরভাতা কিংবা সুবিধা পাবেন কিনা তাও আইনে স্পষ্ট করা হবে বলে জানান তিনি।
বুধবার জাতীয় সংসদে সরকার দলীয় সাংসদ এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, বর্তমানে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিরা দ্য প্রেসিডেন্টস পেনশন অর্ডিনেন্স, ১৯৭৯ অনুযায়ী অবসর ভাতা প্রাপ্য হন। দ্য প্রেসিডেন্টস পেনশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ১৯৮৮-এর মাধ্যমে অধ্যাদেশটি সংশোধন করা হয়।
তিনি জানান, মূল আইনে এটি কার্যকর হওয়ার তারিখ উল্লেখ করা হয়নি। সংশোধনী আইনে বলা হয়েছে, এটি ১৯৮৮ সালের ৪ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
মতিয়া চৌধুরী জানান, মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে এ অধ্যাদেশ জারির সময় পর্যন্ত যারা রাষ্ট্রপতি পদের দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের প্রাপ্য অবসরভাতার বিষয়ে ১৯৭৯ সালে জারি করা অধ্যাদেশে কিংবা এর সংশোধনী আইনে কোনো সুস্পষ্ট বিধান নেই।
“এ অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত যারা রাষ্ট্রপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের প্রাপ্য অবসরভাতার বিষয়ে যথাযথ বিধান সন্নিবেশ করে আইনটি সংশোধনের প্রক্রিয়া চলছে।”
এছাড়া যারা অবৈধ পন্থায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছিলেন তারা অবসরভাতা কিংবা অন্যান্য সুবিধা পাবেন কিনা তা সংশোধিত আইনে স্পষ্ট করার কাজও চলছে।
তারকা চিহ্নিত প্রশ্নে এম আবদুল লতিফ জানতে চেয়েছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত যারা রাষ্ট্রপতি ছিলেন, তাদের সম্মানার্থে অবসর ভাতা দেওয়ার বিষয়টি চিন্তাভাবনা করছে সরকার- এটা সত্য কিনা? তা সত্য হলে কবে নাগাদ বাস্তবায়ন করা হবে?
এর আগে বিকালে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।
দিনের কার্যসূচির শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তরের পর মন্ত্রীদের প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।