চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে তাপস সরকার নামে এক ছাত্র নিহতের ঘটনায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা হয়েছে।
Published : 16 Dec 2014, 01:39 PM
তাপসের বন্ধু সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষার্থী হাফিজুল ইসলাম সোমবার রাত ২টার দিকে হাটহাজারী থানায় এ মামলা করেন।
থানার ওসি মো. ইসমাইল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এজাহারে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির নেতা আশরাফুজ্জামান আশা, রুবেল দে, সাহরিদ শুভ, ফরহাদ হোসেন, এনামুল হাসেন অভি, সোহেল খান, রাশেদ হাসানসহ ৩০ জনের নাম দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা এ মামলায়।
এর আগে অস্ত্র আইনে করা পুলিশের মামলায়ও আশা, রাশেদ ও রুবেলের নাম আসে। ঘটনার পর শাহজালাল হলে অভিযান চালিয়ে রাশেদ ও রুবেলকে আটক করে পুলিশ।
রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে ফেরার সময় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ছাত্রলীগের বগি ভিত্তিক দুই সংগঠন ‘ভি-এক্স’ ও ‘সিএফসি’।
এ সময় শাহ জালাল হল থেকে একপক্ষের ছোড়া গুলিতে আহত হন শাহ আমানত হলের তৃতীয় তলায় থাকা তাপস। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।
অভিযোগ উঠেছে, আশার নেতৃত্বেই সেদিন গুলির ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর ওইদিন বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে পুলিশ একটি পিস্তল, গুলি, লোহার রড, লোহার টুকরা, পাথর, বড় আকারের ছোরা এবং জিহাদি বই উদ্ধার করে। সে সময় আটক করা হয় ৩০ জনকে।
অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পরদিন সকালে পুলিশ পাঁচ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫০-৬০ জনকে আসামি করে একই থানায় মামলা করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেপ্তারদের মধ্যে থেকে ২৪ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
তাপস নিহতের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করার দাবিতে সোমবার উপাচার্য আনোয়ারুল আজিম আরিফকে তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে ‘সিএফসি’র সমর্থকরা।
উপাচার্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা করার আশ্বাস দিলেও মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।