আইনমন্ত্রীর বক্তব্যেও ‘ষড়যন্ত্র’ দেখছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান

হজ নিয়ে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর মন্তব্যের পর পিয়াস করিমকে নিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বক্তব্যে ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছেন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Oct 2014, 04:49 PM
Updated : 19 Oct 2014, 04:49 PM

আইনমন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘ষড়যন্ত্রের অংশ’ উল্লেখ করে রোববার যুবলীগের এক সভায় সংগঠনের নেতা-কর্মীদের তা মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর ওই সভায় ওমর ফারুক বলেন, “মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের চেহারা আস্তে আস্তে জনগণের কাছে স্পষ্ট হতে চলেছে। লতিফ সিদ্দিকী ও এ কে খন্দকারের পর পিয়াস করিমের পক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাফাই গেয়ে বিবৃতি দেওয়ার ঘটনা ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে।”

“সরকারের আরো ঘনিষ্ঠ লোক দ্বারাও এই সব বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য আসতে পারে,” নেতা-কর্মীদের আভাস দিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি নিউ ইয়র্কে হজ নিয়ে করা এক মন্তব্যের জন্য মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়া হয় লতিফ সিদ্দিকীকে। তার আগে শেখ হাসিনার গত সরকারের মন্ত্রী এ কে খন্দকার এক বইয়ে বিতর্কিত কিছু তথ্য দেন, যার সমালোচনায় মুখর আওয়ামী লীগ নেতারা।

যুদ্ধাপরাধের বিচার ও গণজাগরণ আন্দোলন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য সমালোচিত পিয়াস করিম মারা গেলে ‘যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষের লোক’ হিসেবে তার মরদেহ শহীদ মিনারে নেওয়া প্রতিরোধে মাঠে নেমেছিল ছাত্রলীগও।

আনিসুল হক

এর মধ্যেই এই প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া আনিসুল হক রোববার বলেন, পিয়াস করিম একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রচারপত্র বিলি করতে গিয়ে আটক হয়েছিলেন। আর তাকে ছাড়াতেই কুমিল্লায় শান্তি কমিটিতে যোগ দিতে ‘বাধ্য’ হন তার বাবা এম এ করিম।

আনিসুল হকের বক্তব্যের পাল্টায় ওমর ফারুক বলেন, “পিয়াস করিম একাধিকবার বিভিন্ন টক শো-তে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি শহীদ মিনারে বিশ্বাসী নন।

“পিয়াস করিম ছিলেন শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল করিমের ছেলে।”

বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে ওমর ফারুক আরও বলেন, “১৫ অগাস্ট যে কারণে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল, সে কারণ বাস্তবায়নে এখনও ষড়যন্ত্র চলছে। বর্তমান মন্ত্রিপরিষদের মধ্যেও এই ষড়যন্ত্রকারীরা রয়েছে।”

হজ নিয়ে লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্যের বিষয়ে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, “দেশে হিন্দু-মুসলিম রায়ট সৃষ্টি করার জন্য ষড়যন্ত্রকারীরা মন্ত্রিপরিষদ ও এমপিদের ব্যবহার করতে পারে।”

লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিপরিষদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন ওমর ফারুক। অন্য দিকে অনেকে দাবি জানালেও এ কে খন্দকারের বিতর্কিত বইটি বাজেয়াপ্ত না করার সিদ্ধান্তকেও ‘সঠিক’ মনে করছেন তিনি।