ওই সময় স্কুলছাত্র পিয়াসকে ছাড়াতেই তার বাবা কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য অ্যাডভোকেট এম এ করিম শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান হতে ‘বাধ্য’ হন বলেও জানান বৃহত্তর কুমিল্লার (বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া) বাসিন্দা প্রখ্যাত আইনজীবী সিরাজুল হকের ছেলে আনিসুল।
সাম্প্রতিক নানা মন্তব্যের জন্য পিয়াস করিমকে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের ‘পক্ষের লোক’ হিসেবে তার মরদেহ শহীদ মিনারে নেওয়ার বিপক্ষে অবস্থান নেয় বিভিন্ন ছাত্র ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, যার পরিপ্রেক্ষিতে তার লাশ শহীদ মিনারে রাখার অনুমতি দেয়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ছাত্র ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পিয়াস করিমের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন। এনিয়ে আলোচনার মধ্যেই রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে পিয়াস করিম ও তার বাবার একাত্তরের ভূমিকা তুলে ধরেন আইনমন্ত্রী।
যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে থাকা গণজাগরণ মঞ্চের একটি স্মারকলিপি নেওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তার বাবা সিরাজুল হকের সঙ্গে পিয়াসের বাবা এম এ করিমের বন্ধুত্ব ছিল বলে এই পরিবারটি তার বহুদিনের চেনা।
আনিসুল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে লিফলেট বিতরণের জন্য ১৯৭১ সালের মাঝামাঝি বাড়ির ফটকের সামনে থেকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পিয়াস করিমকে ধরে নিয়ে সার্কিট হাউজে আটকে রাখে, তখন তার বয়স ছিল ১৩ বছর।
“এম এ করিমকে পাকিস্তানী বাহিনী সার্কিট হাউজে ডেকে নিয়ে যায়। তিনি বন্ড দিয়ে পিয়াস করিমকে ছাড়িয়ে নেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার মাস দুয়েক আগে তাকে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়।”
ওই সময় ‘চাপ’ দিয়ে পিয়াস করিমের কাছ থেকেও বন্ড নেওয়া হয়েছিল বলে আইনমন্ত্রী জানান।
মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয়পত্র দিতে এম এ করিমকে দেখেছিলেন জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, “বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ায় পর তাকে আটক করা হলেও এর ৮/১০ দিন পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এটা সাধারণ ক্ষমা নয়।”