নয়া কমিটির নিয়ন্ত্রণে ছাত্রদল কার্যালয়

পদবঞ্চিতদের লাগানো তালা ভেঙে নয়া পল্টনে ছাত্রদলের অফিসের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সংগঠনটির নতুন কমিটি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Oct 2014, 06:48 AM
Updated : 19 Oct 2014, 07:13 AM

রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সংগঠনের সভাপতি রাজিব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা অফিসে প্রবেশ করেন।

শনিবার দুপুরে পদবঞ্চিতরা ছাত্রদলের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়। তারা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও সহ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুর কুশপুত্তলিকা দাহ করে।

নতুন কমিটির সমর্থিত কয়েকশ নেতাকর্মী এখন নয়া পল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে রয়েছে।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা আমাদের কার্যালয়ে এসেছি। এটা ছাত্রদলের অফিস। তাই এ নিয়ে কোনো কথা থাকতে পারে না।”

এক প্রশ্রের জবাবে তিনি জানান, সংগঠনের কিছু নেতাকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি সিনিয়র নেতারা দেখেছেন।

ছাত্রদলের কার্যালয়ে নতুন কমিটির সহসভাপতি নাজমুল হাসান, জয়দেব জয়, যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটোয়ারিসহ নেতা-কর্মী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ঘিরে অবস্থান করছেন।

নয়া পল্টনের ভবনের নিচ তলাও কয়েকশ কর্মী অবস্থান করছেন।

এদিকে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে পর্যায়্ক্রমে নয়া পল্টনের কার্যালয়ে আসেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ ‍উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহানগর সদস্য সচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সদ্য বিদায়ী ছাত্রদল সভাপতি আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল প্রমুখ নেতা।

শনিবার বিক্ষোভ করলেও রোববার পদবঞ্চিতদের কাউকে নয়া পল্টনের কার্যালয়ে দেখা যায়নি। অবশ্য একদিন আগে তারা ঘোষণা দিয়েছিল- রোববার সকাল ১১টা থেকে নয়া পল্টনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন তারা।

ছাত্রদলের পদবঞ্চিত ও নতুন কমিটির মুখোমুখি অবস্থানকে কেন্দ্র করে নয়া পল্টনের কার্যালয়ে কাছাকাছি ব্যাপক পুলিশ ও সাদাপোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।

দুই বছর মেয়াদি কমিটি বিলুপ্ত করে গত ১৪ অক্টোবর রাজিব আহসানকে সভাপতি ও আকরামুল হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে ২০১ সদস্যের নতুন আংশিক কমিটি অনুমোদন দেন খালেদা জিয়া।

ওই কমিটি গঠনের পরদিনই নয়া পল্টনের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখায় পদ বঞ্চিত নেতারা।

সেখানে কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণও ঘটানো হয়। সেদিন নতুন কমিটির নেতারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গেলে সেখানেও হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে।