গণজাগরণ মঞ্চের মিছিলে ফের পুলিশি বাধা

যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিলের রায় ও ‘পুলিশি নির্যাতনের’ প্রতিবাদে গণজাগরণ মঞ্চের মিছিলে আবারো বাধা দিয়েছে পুলিশ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Sept 2014, 02:02 PM
Updated : 18 Sept 2014, 03:11 PM

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে গণজাগরণ মঞ্চের পূর্ব নির্ধারিত এই সমাবেশ হয়।

সমাবেশ শেষে মঞ্চের দেড় শতাধিক কর্মী মিছিল করে শাহবাগের দিকে এগোতে চাইলে পুলিশ তাদের আটকে দেয়।

এ সময় প্রায় আধা ঘণ্টা দুই পক্ষের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা চলে। মঞ্চের কর্মীরা রাস্তায় বসে পড়ে শ্লোগান দিতে থাকলে পুলিশের একটি জলকামান কাছাকাছি এনে রাখা হয়। শাহবাগ থানার পুলিশ ছাড়াও দাঙ্গা পুলিশের সদস্যরা ওই এলাকায় অবস্থান নেন।

পরে মিছিল করতে না পেরে সেখান থেকে সরে আসেন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা।

মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ বাধা দিয়ে আমাদের প্রতিবাদ করার অধিকারে হস্তক্ষেপ করল।”

যুদ্ধাপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ড হলেও আপিল বিভাগ জামায়াতের নায়েবে আমির  সাঈদীর সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়।

বুধবার ওই রায়ের পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন শাহবাগে অবস্থান নেয়া গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা। তারা বিক্ষোভ শুরু করলে এক পর্যায়ে পুলিশ জলকামান ও কাঁদুনে গ্যাস ব্যবহার করে তাদের উঠিয়ে দেয়।

এর প্রতিবাদেই বৃহস্পতিবার শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে এই সমাবেশের কর্মসূচি দেয় গণজাগরণ মঞ্চ। 

সমাবেশে মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, “আওয়ামী লীগের নেতারাও এই রায় মেনে নিয়েছেন। ১৯৭৪ সালের আগে আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করত। আমার মনে হয়, এই আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি থেকে সরে এসেছে।”

বুধবার গণজাগরণ কর্মীদের ওপর ‘পুলিশি অ্যাকশনের’ পক্ষে অবস্থান নিয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছিলেন, আদালতের রায় নিয়ে অসন্তোষ থাকলেও সড়ক আটকে বিক্ষোভ করা ঠিক নয়।

গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবনের রায় আসার পর তার ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে শিক্ষার্থী-পেশাজীবী-জনতার অংশগ্রহণে এই আন্দোলন গড়ে ওঠে। পরে আপিলের রায়ে কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।