বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে ‘তথ্য বিকৃতির’ জন্য সাবেক মন্ত্রী এ কে খন্দকারকে তার গ্রাম পাবনার বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গায় ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করা হয়েছে।
Published : 08 Sep 2014, 01:21 AM
রোববার সন্ধ্যায় মিছিল শেষে মুক্তিবাহিনীর উপঅধিনায়কের কুশপুতুল পোড়ানোর পর তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন ওই গ্রামের একদল বাসিন্দা।
ওই এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য এ কে খন্দকার আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন গত সরকারে পরিকল্পনামন্ত্রী ছিলেন। এইচ এম এরশাদের সরকারেও মন্ত্রী ছিলেন তিনি।
সম্প্রতি এ কে খন্দকারের লেখা ‘১৯৭১ : ভেতরে বাইরে’ প্রকাশের পর থেকে সমালোচনার মধ্যে রয়েছেন বীরউত্তম খেতাবধারী এই মুক্তিযোদ্ধা।
বাংলাদেশের প্রথম বিমান বাহিনী প্রধান লিখেছেন, ৭ মার্চ স্বাধীনতার ডাক দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শেষ হয়েছিল ‘জয় পাকিস্তান’ বলার মাধ্যমে।
এরপর সংসদে তীব্র সমালোচনার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনার দাবিও উঠেছে।
বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনার মধ্যে নতুন ভারেঙ্গা গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক গোষ্ঠী নামে একটি সংগঠন রোববার মিছিল নিয়ে নামে।
সন্ধ্যায় ওই গ্রামের বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে মিছিলটি বের হয়ে প্রধান সড়ক ঘুরে একই স্থানে সমাবেশ করে।
সমাবেশে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন মুন, ছাত্রলীগ নেতা সজিবুর রহমান সবুজ, নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলম খান, সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন প্রমুখ।
সমাবেশে এই নেতারা এ কে খন্দকারের কুশপুতুল পোড়ানোর পর তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।