জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মওলানা ভাসানী হলে সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনায় ছাত্রলীগের ১৬ কর্মীকে বহিষ্কারের পর সংগঠনটির পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে।
Published : 22 Aug 2014, 10:16 PM
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাজিবুল হাসান শুক্রবার সন্ধ্যায় ১৬ জনকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
থানার ওসি বদরুল আলম জানান, মামলার এজাহারে আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও ভাংচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম নূর নবী ও ভাসানী হল শাখার সাধারণ সম্পাদক অনিন্দ্য বাড়ৈ এর নেতৃত্বে ছাত্রলীগ কর্মীরা লোহার পাইপ ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হল শাখার সভাপতি শাকিল আহমেদের সমর্থকদের কক্ষে হামলা চালায়।
এ সময় তারা ২৫টি কক্ষ ভাঙচুর করে এবং শাকিলসহ অন্তত দশজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে।
এরপর বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট জরুরি সভা করে ছাত্রলীগের ১৬ কর্মীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।
এছাড়া সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনা খতিয়ে দেখতে নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রাশেদা আখতারকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সিন্ডিকেট।
বহিষ্কৃতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম নূর নবী (বায়োটেকনোলজি বিভাগ, ৪০তম ব্যাচ), মওলানা ভাসানী হল শাখার সাধারণ সম্পাদক অনিন্দ্য বাড়ৈ (নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ৩৮তম ব্যাচ), কর্মী মো. এ কে খায়রুজ্জামান ওরফে সঞ্চয় (ইতিহাস ৪১তম ব্যাচ), খন্দকার নাইম-উল ইসলাম ওরফে নইম (মার্কেটিং, ৪১তম ব্যাচ), কিশোর দাশ (পদার্থ বিজ্ঞান, ৪১তম ব্যাচ), সাদ্দাম হোসেন (উদ্ভিদ বিজ্ঞান, ৪১তম ব্যাচ), এম মাঈনুল হোসাইন ওরফে রাজন (নৃবিজ্ঞান, ৪১তম ব্যাচ), শান্ত কুমার নাথ (পরিবেশ বিজ্ঞান, ৪১তম ব্যাচ), শিহাব খন্দকার ওরফে শিহাব (পরিবেশ বিজ্ঞান), রাজ প্রসাদ ওরফে রাজ (পরিবেশ বিজ্ঞান, ৪২তম), তানভীর সজিব (মার্কেটিং, ৪২তম ব্যাচ), মো. আদেল আল নোমান (মার্কেটিং, ৪২তম ব্যাচ), রায়হান হাবীব (মার্কেটিং, ৪২তম ব্যাচ), মো. নিশাত রহমান (ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং, ৪২তম ব্যাচ), শাকিল উজ জামান ওরফে শাকিল (উদ্ভিদ বিজ্ঞান, ৪২তম ব্যাচ) ও ইশতিয়াক আহমেদ ওরফে বিজয় (রাসয়ন, ৩৯তম ব্যাচ)।